ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ ২১ জানুয়ারি

    ইসলাম সাহমুদ, কক্সবাজার প্রতিনিধি : দেশের সর্ব দক্ষিণের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণে সম্মতি জানিয়েছেন সরকারের সর্বোচ্চ মহল।

    এ আত্মসমর্পণ আনুষ্ঠানিকতার সম্ভাব্য তারিখ র্নিধারণ করা হয়েছে আগামি ২১ জানুয়ারি। স্বেচ্ছায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আগ্রহীরা আগামি ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে তালিকাভক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একটি দল আত্মসমর্পণের আগ্রহ প্রকাশ করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোর এর প্রতিবেদক এমএম আকরাম হোসেন এর কাছে। ফলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোর এর উদ্যোগে বিষয়টি জানানো হয় সরকারের উর্ধ্বতন মহলে। এ প্রেক্ষিতে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের এ প্রক্রিয়াকে সফল করতে হতে গত এক মাস ধরে মাঠে কাজ করছেন পুলিশ কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বিশেষ একটি দল। ইতিমধ্যে অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের এই বিশেষ দলের হেফাজতে চলে এসেছেন।

    চ্যানেল টুয়েন্টিফোর এর প্রতিবেদক এমএম আকরাম হোসেন জানান, ইতিমধ্যে শীর্ষ মানের অনেক ইয়াবা ব্যবসয়ী সহ উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক লোক স্বেচ্ছায় পুলিশের বিশেষ দলটির হেফাজতে চলে এসেছেন। বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ মহলকে অবহিত করা হয়েছে। এর মধ্যে আগামি ২১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

    ওই দিন টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের উপস্থিতিতে এ আনুষ্ঠানিকতা হওয়ার সম্ভাব্য সূচি তৈরী করা হচ্ছে। তবে আত্মসমর্পণে আগ্রহীরা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তালিকাভূক্ত হতে হবে। এ তালিকা তৈরী হওয়ার পর আইনগত দিক বিবেচনা করে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।

    তিনি জানান, কিছুদিন আগে মহেশখালীতে জলদস্যূদের একটি অংশ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। যারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। কারাগারে এসব জলদস্যূদের সাথে যোগাযোগ করে কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী তার সাথে যোগাযোগ করেন। এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নিজদের ভুল বুঝতে পারে আত্মসমপর্ণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

    বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করলে সরকারও তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। যার পর থেকে শুরু হয় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া।

    কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য মতে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকা মতে কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ১৫১ জন ইযাবা ব্যবসায়ী আছেন। যাদের মধ্যে বেশিভাগ সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে। টেকনাফ থেকে সারা দেশে ইয়াবা পাচার হয়ে আসছে। সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে টেকনাফ কেন্দ্রিক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।

    এ অভিযানের অংশ হিসেবে গত আড়াই মাসে টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরিক দ্বন্ধ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ২৩ জন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়ছেন। যার মধ্যে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে প্রাণ হারান ১৯ জন।

    বিএম/আই এম/রাজীব..