বিনম্র শ্রদ্ধায় ইমতিয়াজ বুলবুলের শেষ বিদায় : গার্ড অব অনার প্রদান

    জাতীয় মেইল : কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে বিনম্র শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। সঙ্গীতের এ কিংবদন্তী মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

    আজ বুধবার সকাল ১১টায় তার মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে যথাযোগ্য মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। আরো- অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা বুলবুলকে শেষ শ্রদ্ধা কাল

    একজন নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি চৌকস দল জাতীয় পতাকাখচিত জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুণ সুর ভেসে ওঠে। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুরস্রষ্টার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর আগে ভোর থেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই জড়ো হন সেখানে। শ্রদ্ধা জানান সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও।

    শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর তার মরদেহ নেওয়া হবে এফডিসি প্রাঙ্গণে। এরপর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।

    আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল গতকাল মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

    ১৯৫৬ সালের পহেলা জানুয়ারি ঢাকায় জন্ম নেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত গোলাম আজমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তিনি।

    তিনি একাধারে কাজ করেছেন গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে। সঙ্গীতের সব মাধ্যমেই ছিল তার দীপ্ত পদচারণা। মুক্তিযুদ্ধের পরে, তার সৃষ্ট বেশ কিছু দেশাত্মবোধক গান পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। তিনি সুরের মূর্ছনায় বাঙালিকে তার শেকড়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন বার বার। সংগীতে অবদানের জন্য একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মানে ভূষিত হন এই বিরল প্রতিভা।

    বিএম/রাজীব..