দেশে কেউ গৃহহীন ও গরীব থাকবে না-প্রধানমন্ত্রী

    চট্টগ্রাম মেইল : বাংলাদেশ এখন অদম্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলেই দেশের এত উন্নয়ন আমরা করতে পেরেছি।

    জনগণ পাশে আছে বলেই এত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনগণ খুশি ও সন্তুষ্ট থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকারকে নিরঙ্কুশ বিজয় উপহার দিয়েছে। তার প্রতিদানে জনগণকে দেয়া প্রতিটি ওয়াদা বাস্তবায়ন করবে সরকার।

    রবিবার বন্দরনগরীর পতেঙ্গায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। কেউ গৃহহীন ও গরীব থাকবে না। গৃহহীনদের ঘরবাড়ির ব্যবস্থা সরকার করে দেবে। অচিরেই দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে যাবে।

    মহেশখালী ও মাতাবাড়ি অঞ্চলে একটি এবং পায়রাতে একটি এনার্জি হার্ব গড়ে তোলা হবে। বঙ্গোপসাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের অধিকতর কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দেশে চালু হবে বুলেট ট্রেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যে ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পদের সর্ব্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করব। পাশাপাশি বাংলাদেশ বন্দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ নামে শতবর্ষের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে সরকার। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবে সরকার।

    সভামঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, গৃহায়ন ও গণপুর্তমন্ত্রী স ম রেজাউল করিম, ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, পটিয়া সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী, মিরসরাই সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন চৌধুরী,চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ সালাম, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সচিব সাজ্জাদুল হাসান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, বিপ্লব বড়–য়া, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে রোববার সকাল ১১টা ১০মিনিটে তিনি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং সেখান থেকে সকালে সরাসরি পতেঙ্গার পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। পৌঁছানোর পর সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বোরিং কার্যক্রম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করেন।

    রোববার সকাল সাড়ে ১১টার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং প্রকল্পের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করে পতেঙ্গার সাগর পাড়ে সুধী সমাবেশ মঞ্চে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বিএম/রাজীব সেন প্রিন্স…