এইচ এস সি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে কড়া নজরদারি-শিক্ষামন্ত্রী

    চট্টগ্রাম মেইল : সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১০টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপ শিক্ষা মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    পরিদর্শণ শেষে শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কোনো ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াই এবার উচ্চ মাধ্যমিক এইচএসসি পরীক্ষা শেষে হবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছাপাখানায় প্রশ্ন ছাপা হয়। ছাপা হওয়ার পর আর শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রণালয়সহ কেউ এ প্রশ্নপত্র দেখেন না। বিষয়গুলো জনগণের কিন্তু আসলে সেভাবে জানা নেই। এ পরীক্ষাটি যে সারাদেশের মধ্যে একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ সেটিও হয়তো আমরা পুরোপুরিভাবে এপ্রিশিয়েট করতে পারিনা। আশা করি সকলের সহযোগীতায় যত বিশাল কর্মযজ্ঞই হোক সবার যদি সহযোগীতা থাকে তাহলে সে কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়। আশা করি সেটিই আমাদের হবে।

    শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, মূল যে উদ্দেশ্য আমাদের পরীক্ষার্থীরা, শিক্ষার্থীরা সঠিক মান সম্পন্ন শিক্ষা তারা পাবে এবং তাদের জীবন তারা তৈরি করবে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। তার ভিতরে এটি একটি প্রক্রিয়ার অংশ মাত্র। সেখানে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন শিক্ষা মন্ত্রী।

    তৃতীয় শ্রেণী নাকি অষ্টম শ্রেণী মুলত কোন পর্যন্ত পর্যন্ত পরীক্ষা থাকছে না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী যে একটি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সেটি হলো তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা না নেওয়া। গণশিক্ষামন্ত্রী সে নির্দেশনা মতই কাজ করছে সেটি বাস্তবায়ন করবে। তবে তিনি বলেন, একবারেই করা সম্ভব নয়, পর্যায়ক্রমে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

    প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়টা নিয়ে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হাজার সেট প্রশ্ন পত্রের মধ্যে একটিতে বা কোথাও ভুল হতে পারে। তবে যা হওয়া উচিৎ নয়। তবুও সেরকমই সন্দেহ থাকে বলেই আমরা এতো কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার দেশের নয় হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষার আসনে বসেছে। এর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৮৭ হাজার নয়জন। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এইচএসসি পরীক্ষায় মোট অংশ নিচ্ছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ জন এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৫ জন।

    এই পরীক্ষায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় এক লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৮৮ হাজার ৪৫১ জন।

    এবার দেশের বাইরের আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২৭৫ জন। এ ছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছে এবং অটিজমসহ বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে, এমন শিক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া যাবে।

    এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ মে। এর পর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

    বিএম/রাজীব….