এলআরবি’র নাম পরিবর্তন : তারা এত নিষ্ঠুর হয় কিভাবে? বাচ্চুর মেয়ে সাফরা

    বিনোদন মেইল : জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা ও চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর তার পরিবারের পাশে তারই প্রতিষ্ঠিত দেশের শীর্ষ ব্যন্ড দল এলআরবি দলের কেউ নেই, এমনকি কোন খোঁজ খবরও নেই না বলে অভিযোগ করেছেন প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা।

    তিনি বলেন, ‘মগবাজারে আইয়ূব বাচ্চুর চেহলাম আনুষ্ঠানে সর্বশেষ কথা হয় ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে। এরপর আর কোনো যোগাযোগ কিংবা কথা হয়নি।

    দেশের জনপ্রিয় ব্যাণ্ড শিল্পী প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান এলআরবি’র নাম পরিবর্তন নিয়েও মুখ খুলেছেন তাঁর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা। সে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলেন, বাবার সঙ্গে তারা এতদিন একসঙ্গে কাজ করেছে, এত নিষ্ঠুর হয় কিভাবে?-

    তিনি জানান, ‘এর মধ্যে একদিন ফেসবুক লাইভে জানতে পারি, এলআরবি ব্যান্ডে নতুন সদস্য নেওয়া হয়েছে! নতুনভাবে এলআরবি গঠন করা হয়েছে। খুব অবাক হয়েছি। আম্মুও অবাক। আম্মুও জানে না।

    বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি, এলআরবি নাকি অন্য ভোকাল নিয়ে পারফর্ম করছে। আমি মনে করি, ‘ভদ্রতা’ বলে একটা কথা আছে। সহ্যের বাইরে যখন চলে গেছে, তখন মনে হয়েছে এটা নিয়ে কথা বলা উচিত। যারা এতদিন বাবার সঙ্গে কাজ করেছে তারা এত নিষ্ঠুর হয় কিভাবে! তাঁরা অন্তত আমাদের জানাতে পারত।

    তিনি জানান, তাপস চাচ্চুর (কৌশিক হোসেন তাপস) সঙ্গে কথা বলেছি। বাবা নেই। বাবা আমাদের জন্য কোনো ব্যবসা রেখে যাননি। আমরা বিদেশে আছি, কেউ একবারও জানতে চায়নি আমরা কীভাবে চলছি।

    এরপরও যখন জানতে চেয়েছেন, বলেছি, বাবার কথা ভেবে কাউকে অনুমতি দিতে পারছি না। মঞ্চে যে কেউ বাবার গান গাইতে পারবে। তারা জিরো থেকে নতুন একটা ব্যান্ড গঠন করুক। তাতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। যে যেভাবে বাবাকে চায়, ট্রিবিউট জানাতে পারবে, সেখানে আমরা বাধা দেওয়ার কেউ না।’

    তিনি উল্লেখ করেন, মা একা বাবার নতুন অফিস (এবি কিচেন) গুছিয়েছেন। বাড়ির মালিক অনেক দিন ধরে এবি কিচেনের আগের স্টুডিও সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। বিষয়টি জানার পর শামীম আংকেলসহ ব্যান্ডের সব সদস্যকে আম্মু বারবার অনুরোধ করেছেন, অফিস বদল করার সময় সঙ্গে থাকার জন্য। কিন্তু কেউ আসেনি।

    আম্মু আমাকে বলেছেন, সবাইকে ডাকি, কেউ তো আসে না। এবি কিচেন শিফট করতে আম্মুকে সহযোগিতা করেছেন আমাদের ড্রাইভার, বাবার অফিসের সহযোগী ছেলেটা, অফিস ব্যবস্থাপক আর বাবার বন্ধু দুলাল আংকেল। আর কেউ ছিল না।

    বাবা সব সময় বলতেন, ‘আমাকে ছাড়া এলআরবি চলবে না। আমার এই সম্পদের অধিকার শুধু তোমার আর তোমার ভাইয়ের।’ বাবা একটা কথা সব সময় পরিষ্কার করে বলতেন, ‘আমি তোমাদের খুব গরিব বাবা। আমার অনেক সীমিত জিনিস। আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ আমার ছেলে ও মেয়ে। 

    বিএম/রাজীব…