বুবলীকে হত্যা করা শাহ আলম বন্দুকযুদ্ধে নিহত

    চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়ায় ঘরে ঢুকে ভাইকে না পেয়ে বোনকে গুলি করেছিল চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর পরই ওই দুর্বৃত্তদের প্রধান শাহআলম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

    এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) চার পুলিশ সদস্য।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ বলেন, শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বজ্রঘোনার কাছাকাছি কল্পলোক আবাসিক এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।

    তিনি বলেন, বুবলী আক্তার (২৮) হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান অভিযুক্ত শাহআলম বজ্রঘোনার কল্পোলক আবাসিক এলাকায় অবস্থান করছে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সে সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহআলম ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

    পরে ঘটনাস্থল থেকে শাহআলমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    পুলিশ জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, বুবলি আক্তারের ভাই রুবেলের সঙ্গে শাহআলমের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ছিল। এর জের ধরে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বজ্রঘোনা মদিনা মসজিদের পাশে রুবেলের বাসায় যায় শাহআলম। বাড়িতে রুবেলকে না পেয়ে বোন বুবলি আক্তারকে (২৮) গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে গুলিবিদ্ধ বুবলি মারা যান।

    বুবলী আক্তারের (২৮) বাবার বাড়ি বাকলিয়ার বজ্রঘোনা এলাকায়। তার স্বামীর নাম আকরাম হোসেন।

    নগর পুলিশের কর্মকর্তা মো. আবদুর রউফ বলেন, যতটুকু জেনেছি, বজ্রঘোনা এলাকার যুবক শাহআলমের সঙ্গে স্থানীয় হাসান নামের এক যুবকের বিরোধ ছিল। এ হাসান বুবলীদের আত্মীয় ও তার ভাই রুবেলের বন্ধু। হাসানের সঙ্গে বিরোধের জেরে রুবেলকে মারার জন্য খুঁজছিল শাহআলম। না পেয়ে বুবলীকে গুলি করে।

    নিহতের স্বজনরা জানান, বুবলী আক্তার বজ্রঘোনা এলাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

    সিএমপির বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন জানান, দেড় বছর আগে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে শাহআলম ও হাসানের মধ্যে বিরোধ হয়। ছয় মাস আগে শাহআলম হাসানকে ছুরিকাঘাত করে। ওই মামলায় গ্রেফতারের পর সম্প্রতি শাহআলম জামিনে বেরিয়ে আসে।

    শনিবার সন্ধ্যায় শাহআলম তার সহযোগীদের নিয়ে হাসানকে মারতে যায়। এ সময় রুবেল শাহআলমের হাত থেকে হাসানকে রক্ষা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয় শাহআলম। রাত সাড়ে ১১টার দিকে রুবেলকে মারার জন্য খুঁজতে তাদের বাসায় যায় শাহআলম। বাসায় ঢুকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বুবলীর বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে গুলি করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই লুটে পড়েন।

    বিএম/রনী/রাজীব