চালকের সাথে সখ্যতা অতঃপর পিকআপ হাওয়া : অবশেষে গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম মেইল : নাম তার মো. আলমগীর হোসেন। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার রাজারহাট সৈয়দবাড়ীর আব্দুর রশিদের ছেলে তিনি। ২৬ বছর বয়সী ছেলেটি পেশায় পেশাদার চোর। তবে কোন বাড়ি কিংবা অফিস আদালতের মালামাল ও স্বর্ণালংকার চুরিতে অব্যস্থ নয়।

    পকেট মারেও তার অভিজ্ঞতা নেই। তার কৌশল এবং অভিজ্ঞতাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। যে ধারণা এতোদিন কারো ছিলনা। চট্টগ্রাম নগরীর স্টেশন রোড বিটিআরসির মোড় থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্ধিতে উঠে আসে চমকপ্রদ কাহিনী।

    আলমগীর হোসেন পুলিশকে জানায়, কোতোয়ালী থানাধীন বিআরটিসি ফলমন্ডিস্থ বসুধা বিল্ডার্স এর সামনে অবস্থান নিয়ে অপেক্ষমান চালকদের সাথে নানা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে সখ্যতা তৈরি করে। তাদের কাছে ফল আনতে হবে ও মোবাইলে কথা বলার জন্য সহযোগীতা চাই। সখ্যতার সুযোগ নিয়া সে কৌশলে গাড়ীর চাকা, ব্যাটারী ও মোবাইল ফোন চুরি করে চম্পট দেয়। দীর্ঘদিন ধরে সে এভাবেই চুরি করে আসছে গাড়ির নানান পার্টস।

    এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাত ২ টার সময় কৌশলে একটি পিকআপ (চট্টমেট্টো-১১-৭২৫১) গাড়ীটি ভাড়া করে। চুরি করে পালানোর সময় চালকের সহকারীর চিৎকারে অন্যান্য ব্যবসায়িরা এগিয়ে এসে তাকে আটক করে। পরে কোতোয়ালি থানা টহল পুলিশের কাছে কৌশলী এ চোরকে হস্তান্তর করা হয়।

    কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফল নিয়ে সাতকানিয়ার কেরানীহাট যাওয়ার কথা বলে তিন পোলের মাথা থেকে তৌহিদুল ইসলামের পিকআপ ভাড়া করে চোর আলমগীর। পরে ফল নেয়ার জন্য তৌহিদকে নিয়ে ফলমন্ডিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন কৌশলে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তৌহিদের সহকারী শফি আলম তা দেখে ফেলে।

    পরে শফি আলমের চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয়রা আলমগীরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে পেশাদার এ কৌশুলি চোরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আলমগীরের বিরুদ্ধে পিকআপ চুরির চেষ্টা করার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

    বিএম/রাজীব সেন..