কাদের বাঁচাতে বন্দুকযুদ্ধে গেলো সাইফুল?

    হাজী সাইফুল ওরফে সাইফুল করিম ওরফে সিআইপি সাইফুল বা ইয়াবা কিং সাইফুল বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

    যতদুর শুনেছি, সে সেইফ জোনে ছিলো। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পাসপোর্টধারী সাইফুল পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে রেঙ্গুন, সিত্তে, মংডু ও দুবাইকে বেছে নিয়েছিলেন।

    সাইফুল দেশের শীর্ষ ইয়াবা গড ফাদার। তার মাপের আরো যারা আছেন, তাদের ও সাইফুলদের সেইফ গার্ডদের রক্ষা করতেই কি বন্দুক যুদ্ধ হলো? সাইফুল বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলে, শুক্কুর আলি, জাফর চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা, মৌলভী মুজিবর, আমিন, বদি, নিপুরা বন্দুকযুদ্ধের মুখে পড়েন না কেনো? তারা তো সাইফুলের চেয়ে ছোট মাপের গড ফাদার নন।

    যখন মিডিয়া ইয়াবা কিং সাইফুলের নাম জানতো না, বা তাকে স্থানীয় সাংবাদিকরা আড়াল করে রাখেন বলে শোনা যায়, তখন একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তার নাম দেখি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি টেকনাফ বন্দর কেন্দ্রিক বড় ব্যাবসায়ী বয়সে আমার সমবয়সীই হবেন।

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10215847918124219&id=1033327057

    আমদানি রফতানির ব্যাবসা, সিএন্ডএফ ব্যবসার আড়ালে তিনি গাছের খোড়ল, মাছের বাক্সের মধ্যে ইয়াবা আনেন। এ ব্যবসায় ফুঁলে ফেপে উঠতে তিনি তখন স্থানীয় সংসদ সদস্য, সব দলের রাজনৈতিক নেতা ও তাদের পরিবারের ইয়াবা কিংদের সঙ্গে গাট বেধেছেন।

    চতুর সাইফুল কোন সাংবাদিককে কি উপঢৌকন দিয়েছেন, কার বাসা বা অফিসের টিভি বা ফ্রিজ সাইফুলের কিনে দেওয়া, কোন কর্মকর্তাকে ২৮ লাখ টাকার গাড়ি বা কার চট্টগ্রাম অথবা ঢাকার ফ্লাট তিনি কিনে দিয়েছেন, সব তথ্য তখন জেনে কেবল আঁতকে উঠেছিলাম।

    সম্ভবত আমিই তখন প্রথম হাজি সাইফুল করিমের নাম গণমাধ্যমে ফাঁস করি। সব কথা সরাসরি লিখতে না পারলেও তার গন্ডির সীমানার কিছুটা আঁচ দিতে পেরেছিলাম।

    গত কয়েক বছর বাকি সবাইকে আড়াঁল করতে সাইফুলকে( হাইলাইট করতে থাকে। এতে তারা সফল। নিজের কৌশলে অন্যদের হাইলাইট করে সাইফুল যেমন নিজেকে দীর্ঘদিন আঁড়ালে রেখেছিলেন, বৃহৎ মাদক ব্যবসায়ী পরিবার ও গোষ্ঠীও তাতে সফল হয়েছে।

    সাইফুলকে বিচারের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দেশ উপকৃত হতো। তাহলে সেটা না করে কাদের বাঁচাতে এই বন্দুক যুদ্ধ করলো ইয়াবা কারবারিরা!

    [সাংবাদিক রহমান মাসুদের ফেসবুক থেকে নেয়া।]

    বিএম…