কমলাপুরে সিডিউল বিপর্যয় অব্যাহত

    ঈদযাত্রার শুরুর দিন থেকেই অব্যাহত রয়েছে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়। বেশিরভাগ ট্রেন সময় অনুযায়ী কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ ও যাত্রীর চাপ বেশি এমন সব ট্রেনেই সিডিউল বিপর্যয় বেশি হচ্ছে। গত চার দিনে লাগামহীনভাবে ট্রেনগুলোর সিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

    সোমবার (৩ জুন) সকালেও রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের এই চিত্র দেখা গেছে। প্রতিদিনই ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হলেও এ ব্যাপারে কোনো উন্নতিই দৃশ্যমান হচ্ছে না।

    কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে— খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরিতে ৮টায় ছেড়ে গেছে। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস আধা ঘণ্টা দেরিতে সকাল সাড়ে ৬টায় ছেড়ে যায়। নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ছাড়ার কথা থাকলেও সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে দুপুর সাড়ে ১২টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

    লালমনি ঈদ স্পেশাল আড়াই ঘণ্টা দেরিতে ১১টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯ টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরিতে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে গেছে।

    অন্যদিকে যথাসময়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে— বলাকা এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, এগারো সিন্ধু এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী ও দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল।

    নীলসাগর এক্সপ্রেসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী রায়হান মিয়া বলেন, ট্রেনের এই সিডিউল বিপর্যয় অবশ্যই রেলের কর্মকর্তাদের জন্য ব্যর্থতার পরিচয়। তাদের ব্যবস্থাপনা ভালো না হওয়ার কারণে আজকে চতুর্থ দিনেও গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোতে সিডিউল বিপর্যয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। ফলে রেল তার সুনাম যেমন হারাতে বসেছে, একইসাথে দিনে দিনে মানুষ আগ্রহ হারাচ্ছে ট্রেন যাত্রায়।

    কমলাপুর রেলস্টেশনের সেন্টশন ম্যানেজার মো. আমিনুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিদিন ১ লাখ ২০ হাজার যাত্রী পরিবহবন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজকে মোট ৫৬টি আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেন ভিন্ন রুটে চলাচল করছে। এর মধ্যে রয়েছে চারটি স্পেশাল ট্রেনসহ ৩৭ টি আন্তঃনগর ট্রেন।

    এখন অবধি ২২টি ট্রেন বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে বলেও জানান আমিনুল হক।

    বিএম/রনী/রাজীব