সরকারি তদারকিতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে
    চমেক হাসপাতালে রোগীদের অবস্থা সংকটজনক: রয়েছে ওষুধের সংকট

    চট্টগ্রাম মেইল : নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের অবস্থা খুবই সংকটজনক।

    হাসপাতালের বারান্দা এবং খোলা জায়গায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা যায়। যা অত্যন্ত অমানবিক। তাছাড়া হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধের সংকটও রয়েছে প্রচুর।

    রোগীদের প্রায়শই বাহির থেকে ওষুধ ক্রয় করে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেন।

    এছাড়াও বর্তমানে বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতে স্বাস্থ্য সেবার বিপরীতে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ আদায় করার যথেষ্ট প্রমাণ লক্ষ্য করা গেছে। যা সেবা গ্রহণকারীদের জন্য একটি বিশাল বোঝা। তিনি এ ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নিকট বিনীত আহবান জানান।

    তিনি আজ ৮ জুন শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় ফকিরহাটস্থ মেট্রোপ্লাজায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে নাগরিক উদ্যোগের কর্মপন্থা নির্ধারণ বিষয়ক সভায় এ আহবান জানান।

    সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে চট্টগ্রামের বর্তমান উন্নয়ন কর্মকান্ড। আধুনিক বিশ্বের উন্নত শহরের তুলনায় পরিনত হবে আগামী দিনের চট্টগ্রাম।

    সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছে আউটার সার্কুলার রোড। পতেঙ্গায় নির্মিত হচ্ছে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র। স্বপ্নের টানেলের নির্মান কাজও চলছে পুরোদমে। এতোসব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হলে স্বাভাবিক ভাবেই শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিও দেশী বিদেশী যাত্রী সাধারণের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যমে পরিণত হবে।

    ফলে এখন থেকেই শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে পুরোদমে যোগাযোগ প্রতিবন্ধকতা মুক্ত রাখা একান্ত আবশ্যক। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত আহবান জানান খোরশেদ আলম সুজন।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড। চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে লক্ষ্যে এখনই ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বন্দরের নাব্যতা পূণরায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

    তিনি বলেন, আগেও ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের নামে বন্দরের কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। তাই সরকারী তদারকির মাধ্যমে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধি এবং সেই সাথে সমৃদ্ধ অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    নাগরিক উদ্যোগের টআহবায়ক বিশিষ্ট কলামিস্ট প্রফেসর ফজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোঃ ইলিয়াছ, এস.এম.আবু তাহের, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান, আব্দুল আজিম, মোরশেদ আলম, নুরুল কবির, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মোঃ ওকার উদ্দিন, ছালেহ আহমদ জংগী, এজাহারুল হক, এ.এস.এম জাহিদ হোসেন, মোঃ শাহজাহান, শেখ মামুনুর রশীদ, সোলেমান সুমন, মোঃ সালাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, সফি আলম বাদশা, স্বরূপ দত্ত রাজু, হাসান মোঃ মুরাদ, সরওয়ার্দি এলিন, রাজীব হাসান রাজন, মোঃ ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, শিশির কান্তি বল, মোজাম্মেল হক সুমন, আরাফাত রুবেল, মনিরুল হক মুন্না প্রমূখ।

    বিএম/রাজীব সেন প্রিন্স..