উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজের ফলক উম্মোচন করলেন মেয়র
    চট্টগ্রামে দুটি সড়ক : মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধু ও মহিউদ্দিনের নামকরণ প্রস্তাব

    চট্টগ্রাম মেইল : প্রস্তাবিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (সাবেক পিসি রোড) রোর্ডের আনন্দপুরী থেকে মাজার পর্যন্ত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ আজ থেকে শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে নয়াবাজার চত্বরে এই কাজের ফলক উম্মোচন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন।

    আনন্দপুরী থেকে মাজার পর্যন্ত রোর্ডের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪২ কোটি টাকা। এই উন্নয়নের মধ্যে কার্পেটিং পুরু ৯ ইঞ্চি, বেস টাইপ ৮ ইঞ্চি, ওয়াটার বাউন্ড মেগাডাম ৬ ইঞ্চি, সেন্ট ফাইলিং ১২ ইঞ্চি ,সাববেইস ১০ইঞ্চি সর্বমোট ৩ ফুট ৯ ইঞ্চি রাস্তা উঁচুকরণ কাজ রয়েছে।

    এই সড়কে দুইটি কালভার্ট, লিংক রোডে ৭টি কালভার্ট, বক্স কালভার্ট ১টি ,রাস্তা দু”পাশে ২মিটার প্রশস্থ আরসিসি ড্রেন ও ফুটপাত এবং রাস্তার মাঝখানে আড়াই ফুট প্রশস্থ মিডিয়ান ও এলআইডি লাইটও থাকবে । এছাড়া এই সড়কে ৮৫০ রকমের গাছ-গাছালি লাগানো হবে। যা এলাকাটি হবে দৃষ্টিনন্দন।

    উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেন পোর্ট কানেকটিং রোডের ৫ দশমিক ৭কিলোমিটার দৈঘ্য এবং ১২০ফুট প্রশস্থ নিমতলা থেকে অলংকার মোড় পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এবং ২দশমিক ২কিলোমিটার দীর্ঘ ১২০ফুট প্রশস্থ বাদামতলী থেকে বড়পুল পর্যন্ত আগ্রাবাদ সংযোগ সড়ক আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নামে নামকরণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

    শিঘ্রই এ সড়ক দু”টির নামকরণ মন্ত্রালয় থেকে অনুমোদন মিলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র। তিনি বলেন প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু সড়কে পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ১৭০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এই সড়ক উন্নয়নের জন্য নিমতলা থেকে আনন্দপুরী গেইট পর্যন্ত ১শত কোটি টাকা, আনন্দপুরী গেইট থেকে মাজার পর্যন্ত ৪২ কোটি টাকা এবং মাজার থেকে আলংকার মোড় পর্যন্ত ২৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। দীর্ঘ ৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার এই রাস্তার উন্নয়নে সম্পূর্ণ অর্থ যোগান দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন এজেন্সির (জাইকা)।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, মুখে বলা সহজ কিন্তু কাজ করা অনেক কঠিন। এ রোড দিয়ে প্রতিনিয়ত বন্দরের সকল গাড়ির গমন বহির্গমন হয়। তাই এ কাজ করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা হয়। তারপরও চসিক এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে।

    এ এলাকার উন্নয়ন করতে গিয়ে জনগণের যে ভোগান্তি হচ্ছে তার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সবাইকে উন্নয়নের এ ভোগান্তি সহ্য করতে হবে। তিনি বলেন এ্ই কাজটি জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। এতে ডিজাইন,ড্র্রানিং পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এই কাজ সম্পূন্নরুপে দেখভাল করবে জাইকার বিশেষজ্ঞ দল।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর এম এম এরশাদ উল্লাহ, মো. সাবের আহমেদ, মোরশেদ আক্তার, আবুল হাশেম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন খানম, ফারহানা জাবেদ চসিক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, চসিক নিবার্হী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক অসীম বড়–য়া এবং জেবি কন্সক্ট্রাকশন এর স্বতা¡ধিকারী আলহাজ্ব মনজুরুল আলম মঞ্জুসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    বিএম/রাজীব সেন..