হকার নীতিমালা প্রনয়নে সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ সুজনের

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, হকাররা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন বাস্তবতা। কোনভাবেই জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। নিজস্ব মূলধন সংগ্রহ করে তারা তাদের ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করছে। একটি সম্পূর্ণ হালাল ব্যবসার মাধ্যমে হকাররা পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।

    তবে দিনের পর দিন ফুটপাত দখল করে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করতে গিয়ে ক্রমাগত জনগনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। জনমনে হকারদের নিয়ে একটি অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। অস্বস্তিকর অবস্থা দুর করতে তিনি হকারদের জন্য একটি হকার নীতিমালা প্রনয়ন করার জন্য সরকারের প্রতি বিনীত আবেদন জানান।

    তিনি আজ ৬ জুলাই শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশন এবং চট্টগ্রাম হকার্স ঐক্য পরিষদের আওতাধীন নগরীর বিভিন্ন এলাকার হকার নেতৃবৃন্দদের অংশগ্রহণে আয়োজিত মতবিনিময় সভা থেকে সরকারের কাছে এ আবেদন জানান।

    তিনি মনে করেন, হকার নীতিমালা প্রণয়ন হলে এ ব্যবসাটি একটি স্থায়ী ব্যবসায় পরিণত হবে। তখন ব্যাংক, বীমা কিংবা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান হকারদের স্বল্পসুদে ঋণ এবং অন্যান্য সহযোগিতা প্রদানে এগিয়ে আসবে। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশন নাম মাত্র মূল্যে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করবে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করবে। তাহলেই হকাররা জনদূর্ভোগের কারণ হবেন না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    হকার নেতৃবৃন্দকে ব্যবসা বানিজ্য করতে গিয়ে জনগনের পথের কাটা না হওয়ার আহবান জানিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন হকারদের উদ্দ্যেশে আরো বলেন, দিনের পর দিন ফুটপাত দখল করে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করতে গিয়ে ক্রমাগত রাস্তার উপর এসে তাদের ব্যবসা বানিজ্য সম্প্রসারন করেছে হকাররা। ফলতঃ জনসাধারনের হাটার পথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে প্রায়ই হকারদের বাদানুবাদ সৃষ্টি হয়। এভাবে চলতে থাকলে এ ব্যবসার প্রতি জনগন আস্থা হারাবে।

    সুজন বলেন, আমরা হকারদের সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করতে চাই। তাই আপনাদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। রাস্তার মোড়, সড়কদ্বীপ, ফুটপাত কিংবা রাস্তায় কোন ভাবেই চৌকি কিংবা কোন কাঠামো স্থাপন না করার জন্য তিনি সর্বস্তরের হকারদের প্রতি বিনীত আহবান জানান। হকাররা প্রতিদিন একটি বসার টুল নিয়ে বসবে এবং তাদের পণ্যগুলো একটি হ্যাঙ্গারে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রদর্শন করবে। কোনভাবেই ফুটপাত কিংবা রাস্তা দখল করা যাবে না।

    যদি হকাররা এসব প্রস্তাবনায় সম্মত হয় তাহলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং পুলিশ কমিশনারের সাথে আলাপ আলোচনা করে এ ব্যাপারে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে একটি স্থায়ী হকার নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলাপ আলোচনা করা হবে বলে সর্বস্তরের হকারদের অবহিত করেন। হকার নেতৃবৃন্দ নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা জনাব সুজনের প্রস্তাবনাসমূহ আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস প্রদান করেন।

    চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি মিরন হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসীম মিয়া, চট্টগ্রাম হকার্স ঐক্য পরিষদের সভাপতি নুরুল আলম লেদু, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রনি, মোঃ শাহজাহান, এজাহারুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, সোলেমান সুমন, স্বরূপ দত্ত রাজু, সরওয়ার্দী এলিন, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, জসীম হাজারী, হারুনুর রশীদ, নুর মোহাম্মদ, নুর আহাম্মদ চৌধুরী, মোঃ জামাল, বেলায়েদ হোসেন, জহির আহাম্মদ, মোঃ ইয়াকুব, মোঃ শহিদ, আবু বক্কর, লোকমান হাকিম, মাহমুদুল হক, আশফাক উদ্দিন, আব্দুল জাহেদ মনি, মোঃ সাইফুদ্দীন, আকবর হোসেন রাজন, মনিরুল হক মুন্না প্রমূখ।

    বিএম/রাজীব সেন..