জয়ের স্বপ্ন পূরন হলোনা আইরিশদের

    লর্ডসে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের স্বপ্ন পুরন হলোনা আইরিশদের। ইংলিশদের দেওয়া ১৮২ রানের টার্গেটে জবাবে ভুতুড়ে ব্যাটিংয়ে মাত্র রানেই অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। ১৪৪ রানের জয়ে একমাত্র টেস্ট সিরিজটি নিজেদের করে নিলো ইংল্যান্ড।

    তৃতীয় দিনের প্রথম বলেই ইংলিশদের শেষ উইকেটটি নিয়ে ১৮২ রানের লক্ষ্য পায় আয়ারল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস ওকস আর স্টুয়ার্ট বোর্ডের পেস আগুনে পুড়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আইরিশরা। এক পোর্টালফিল্ড ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে পৌছাতে পারেনি কোন ব্যাটসম্যানই। মাত্র ১৫.৪ ওভারেই ৩৮ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।

    ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস ওকস ৬ ও বোর্ড ৪ টি উইকেট নেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার বিনা উইকেটে শূন্য রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। দলীয় ২৬ রানে নিয়মিত ওপেনার ররি বার্নস ফিরে গেলেও আগেরদিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ওপেনিংয়ে নামা জ্যাক লিক দ্বিতীয় উইকেটে জেসন রয়ের সাথে গড়েন ১৪৫ রানের বিশাল জুটি। দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক। আক্রমণাত্মক খেলে মাত্র ৭৮ বলে ৭২ রান করে ফিরে যান রয়। আর সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থেকে ১৬ চারের সাহায্যে ১৬২ বলে ৯২ রান করে ফিরে যান ওপেনার জ্যাক লিক।

    লিক ফিরে গেলেই আইরিশ বোলারদের তোপে ভাঙন ধরে ইংলিশ শিবিরে। এরপর আর দাড়াতে পারেনি কেউই হয়নি কোন বড় জুটি। তবে স্যাম কুরানের ২৯ বলে ৩৭ রানের ক্যামিওতে দলীয় স্কোর কোনমতে ৩০০ পার করে ইংল্যান্ড। এরপর বৃষ্টি হানা দিলে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই দ্বিতীয় দিনের খেলা সমাপ্তি ঘোষণা করান। ফলে ৯ উইকেটে ৩০৩ রান নিয়ে দিনশেষ করে ইংল্যান্ড। তাদের লিড গিয়ে দাঁড়ায় ১৮১ রানে।

    আয়ারল্যান্ডের হয়ে মার্ক এডাইর ৩টি বয়েড র‍্যাংকিন ও স্টুয়ার্ট থম্পসন ২টি করে উইকেট।

    অন্যদিকে প্রথম দিনো ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৫ ও আয়ারল্যান্ড ২০৭ রানে অল আউট হয়।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :

    ইংল্যান্ড(১ম ইনিংস): ৮৫/১০, ডেনলি-১০, স্যাম কুরান-১৮।
    মুরতাগ-১৩/৫, এডাইর-৩২/৩।

    আয়ারল্যান্ড(১ম ইনিংস): ২০৭/১০, বালবির্নি-৫৫, স্টার্লিং-৩৬।
    স্টোন-২৮/৩, স্যাম কুরান-২৯/৩।

    ইংল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)-৩০৩/১০, জ্যাক লিক-৯২, রয়-৭২।
    এডাইর-৬৬/৩, থম্পসন-৪৪/৩

    আয়ারল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)- ৩৮/১০
    ক্রিস ওকস ১৭/৫, বোর্ড ১৯/৪।

    সেরা খেলোয়াড় : জ্যাক লিক।

    বিএম/এমআর