কবুল হজের অধিকারী হতে ১৩ পরামর্শ

    আপনি কি হজের সফরে যাচ্ছেন? হজের জন্য যদি আপনার এই প্রচেষ্টা আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়, তবে জেনে রাখুন আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য এক বিশাল পুরষ্কার অপেক্ষা করছে। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন,
    العمرة إلى العمرة كفارة لما بينهما، والحج المبرور ليس له جزاء إلا الجنة

    “এক ওমরার পর অপর ওমরা মধ্যবর্তী গুনাহের জন্য কাফফারা এবং কবুল হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।” (বুখারী, হাদীস নং: ১৭৭৩)

    সুতরাং, আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার হজকে আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় হওয়ার উপযুক্ত করে তোলা। আমরা আশা করছি নিম্নে প্রদত্ত ১৩টি পরামর্শ আপনার হজ আল্লাহর কাছে কবুল হতে সহায়ক হবে।

    ১. একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হজের নিয়ত করুন। অন্যকোন লাভের আশা যেনো আপনার হজের নিয়তকে দূষিত না করে।
    ২. আপনার হজের জন্য খরচের অর্থ যেনো বৈধ পন্থায় অর্জিত হয়।
    ৩. আপনার ঋণগুলো পরিশোধ করুন এবং সকলের কাছ থেকে আপনার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করুন।
    ৪. হজের সকল মৌলিক বিধি-বিধান সম্পর্কে যথাযথভাবে জেনে নিন এবং এই নিয়মসমূহে নিজেকে অভ্যস্ত করে নিন।
    ৫. আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার উপর পরিবারের নির্ভরশীল ব্যক্তিদের চলার মত ব্যবস্থা নিশ্চিত করে নিন।
    ৬. যাত্রার পূর্বে একটি ওসিয়তনামা রেখে যান, যাতে সফরে আপনার মৃত্যু হলেও আপনার পরিবারের ও আপনার সম্পত্তির যথাযথ ব্যবস্থা হতে পারে।
    ৭. যাত্রার পূর্বে সততার সাথে দ্বীনের পথে জীবন পরিচালনার জন্য আপনার পরিবারের সদস্যদের উপদেশ দিয়ে যান।
    ৮. প্রজ্ঞাবান ও পরহেজগার ব্যক্তির সাহচর্যে হজের সফর করুন।
    ৯. আল্লাহকে স্মরণ করুন এবং বেশি বেশি দুআ ও যিকির করুন।
    ১০. পুরো সফরে ধৈর্য ও সহনশীলতা বজায় রাখুন।
    ১১. আল্লাহ এবং তার রাসূল (সা.) এর প্রতি সত্যিকার ভালোবাসায় নিজের অন্তরকে পূর্ণ করুন।
    ১২. শুধু বাহ্যিকতায় ব্যস্ত না হয়ে হজের অন্তর্নিহিত অর্থের দিকে মনোযোগ দিন এবং সম্মান ও সমীহভাবের সাথে হজ সম্পন্ন করুন।
    ১৩. ফেসবুক বা মোবাইলফোনে গেমসহ হজের সাথে সম্পর্কহীন অহেতুক কাজকর্ম থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন।

    রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন। তিনি আমাদের হজকে সফল করে আমাদেরকে কবুল হজের মর্যাদা দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামিন।

    বিএম/এমআর