সিরিজে সমতায় ফেরার ম্যাচে মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে শ্রীলঙ্কাকে ২৩৯ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল বাংলাদেশ।
তবে আক্ষেপে পূরতে পারেনই মুশফিক সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থেকে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি টাইগারদের। ৮ ওভারে ৩১ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। সৌম্য ১১ ও তামিম ১৯ রান করে ফিরে যান।
এরপর উইকেটে দাড়াতে পারেনি মিথুন, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির, মোসাদ্দেকের কেউই। মুশফিক একপাশ আগলে রাখলেও আশা যাওয়ার মধ্যে থাকেন আরেকপাশের ব্যাটসম্যানরা। একসময় ১১৭ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারায় ফেলে বাংলাদেশ। তখন মনে হচ্ছিল দুশোও পার হবেনা টাইগারদের স্কোর কিন্তু তখন দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটে ৮৪ রান যোগ করে এই জুটি৷ এই জুটিই বানএরই মধ্যে নিজের অর্ধশতকও তুলে নেন মুশফিক।
তবে আরেকপাশে দুর্দান্ত খেলে অর্ধশতক থেকে মাত্র ৯ রান দূরে থাকতে ৪১ রান করে ফিরে যান মিরাজ। মিরাজ ফিরে গেলে ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন মুশফিক। তার ব্যাটে ভর করেই শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান করে বাংলাদেশ। আর সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থেকে ১১০ বলে ৯৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।
এদিন তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ছয় হাজার রানের মাইলফলক ছুলেন মুশফিকুর রহিম। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
আজকের ম্যাচ শুরুর আগে মুশফিকের রান ছিক ৫৯৯২। ৬০০০ হাজার পূরণ করার জন্য তার দরকার ছিল মাত্র ৮ রান। আকিলা ধনঞ্জয়ের বলে মিড উইকেটে একটি সিঙ্গেল নিয়ে নিজের ছয় হাজার রান পূরণ করেন মুশফিক।।
২১৫ ম্যাচে ৭৯ স্ট্রাইকরেটে ৩৫ এরও বেশি গড়ে এ কীর্তি গড়েন মুশফিক। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান ওয়ানডেতে ৬০০০ রান করার কীর্তি গড়েন।
বিএম/এমআর