হোয়াইটওয়াশ এড়াতে টার্গেট ২৯৫

    হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে নেমেছে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে আগে ব্য্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কাকে ছোট রানে বেদে রাখতে পারেনি বাংলাদেম। তাইজুল ইসালামের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও ৮ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা তুলেছে ২৯৪ রান। জিততে হলে বাংলাদেশের চাই ২৯৫।

    প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়েছিল বাংলাদেশ। তুলে নেয় একটি উইকেটও। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আঘাত হানেন পেসার শফিউল ইসলাম। আভিশকা ফার্নান্ডোকে ৬ রানেই এলডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।

    পরের পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ দেয় ২৩ রান। ১০ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৬ রান। এরপরই খোলস ছেড়ে বের হয় অভিষিকা আর পেরেরা। এই দুজন শুরু করেন হাত খুলে খেলতে। ফলাফলও পান তারা। পরের ১০ ওভারে তাদের জুটি থেকে আসে ৬০ রান।

    ২১তম ওভারে এসে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। ৪৬ রানে ব্যাট করা করুণারত্নেকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাজঘরে। পরের ওভারেই দলকে আরেকটি ব্রেক থ্রু এনে দেন রুবেল হোসেন। মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে তিনি ফেরান কুশাল পেরেরাকে। তবে তার আগে ৫২ বল খেলে মূল্যবান ৪৩ রান করে যান তিনি।

    এরপর বাংলাদেশকে হতাশার সাগরে ডোবান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস আর কুশাল মেন্ডিস। চতুর্থ উইকেটে এই দুজন গড়েন ১০১ রানের জুটি। এই রান আসে ১২১ বল থেকে। ১৯৯ রানের মাথায় কুশাল ৫৪ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটি। এরপর আবার সেই হতাশা।

    ডেথ ওভারে ৫১ বলে বাংলাদেশ দেয় ৯৪ রান। এর মধ্যে দাসুন শানাকা ১৪ বলে করেন ৩০ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৯০ বলে করেন ৮৭ রান। শেষ ওভারে এসে সৌম্য সরকার দুইটি উইকেট তুলে নিলেও শফিউল-রুবেলদের ব্যর্থতায় ২৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা।

    শফিউল ইসলাম ১০ ওভারে ৬৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। অথচ এই বোলার প্রথম ৫ ওভারে দেন মাত্র ১২ রান। সৌম্য সরকার ৯ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে তিনটিউইকেট নিয়েছেন। এছাড়া রুবেল হোসেন ৯ ওভারে ৫৫ রান দেন। তাইজুল ১০ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।

    বিএম/রনী