স্কুলছাত্র সাকিব হত্যা : ৩ জনের ফাঁসি ১ জনের যাবজ্জীবন

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্র ফারহান সাকিব (১৫) কে জবাই করে হত্যা করার চারবছর পর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছে আদালত।

    আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মোহাম্মদ আব্দুল মজিদের দেয়া আদেশে এ হত্যাকান্ডের দায়ে ৩ জনকে ফাঁসি এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

    জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী রায়ের বিষয়ে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামিদের মধ্যে কাজী সরওয়ার এখনো পলাতক। তবে বাকিরা জেল হাজতে রয়েছেন। তাছাড়া এ হত্যা মামলায় পুলিশ আদালতে যে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার চলছে শিশু ট্রাইব্যুনালে।

    মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কাজী সরওয়ার উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম ও মীর হোসেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম হোসনে মোবারক রুবেল। তিনি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি কাজী সরওয়ার উদ্দিনের ভাই বলে জানিয়েছে আদালত।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে কাজী সরওয়ার উদ্দিনকে ৩৬৪ ধারায় (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ) আরও ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও ১ বছর করে জেলে থাকার আদেশ হয় শহীদুল ইসলাম ও মীর হোসেনের বিরুদ্ধে। হোসনে মোবারক রুবেলকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১ বছর জেল দিয়েছে আদালত।

    জানা যায়, নিহত ফারহান সাকিব জেলার মীরসরাই উপজেলার জেবি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে একই এলাকার শহীদুল ইসলাম ছেলে।

    ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মিরসরাই জোরারগঞ্জের উত্তর মোবারকঘোনা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২০১৫ সালের ৬ জুন ফারহান সাকিবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামীরা। পরে ওই এলাকার নয়াটিলার পাহাড়রে ভীতরে নিয়ে গিয়ে ফারহান সাকিবকে জবাই করে হত্যা করে।

    এই ঘটনায় ফারহানের বাবা শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে মীরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে মোট ১১ জনের সাক্ষী পর্যালোচনা করে চার বছর পর আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন।

    আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্থি হওয়ায় আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নিহত সাকিবের বড় ভাই শহিদুল।

    বিএম/রাজীব..