মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন আরও ৪৬ বীরাঙ্গনা

    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্যাতিতদের মাঝে আরও ৪৬ বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিল বর্তমান সরকার।

    জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৬২তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বীরাঙ্গনারা এ স্বীকৃতি পেলেন। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনার সংখ্যা হল ৩২২। বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রতি গেজেটও প্রকাশ করেছে সরকার।

    মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনাদের মধ্যে রয়েছেন- টাঙ্গাইলের মোছা. রবিজান বেওয়া, কিশোরগঞ্জের আমেনা খাতুন, ময়মনসিংহের জয়ন্তী বালা দেবী, দিনাজপুরের উম্মে কুলসুম বেওয়া, ফরিদপুরের আরতী রানী ঘোষ, বরগুনার দিপ্তী রানী পাল, যশোরের মোসা. সালেহা খাতুন, বাগেরহাটের তরুশীল, নাটোরের মালতি কান্তা, জয়পুরহাটের মোছা. ফিরোজা বেগম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোসা. রহিমা বেগম, গোপালগঞ্জের রানী বণিক, বগুড়ার মীরা রানী সরকার, কুমিল্লার বেগম ফুলবানু, মাদারীপুরের চিন্তাময়ী বাড়ৈ ও আরোতী রানী সাহা, পিরোজপুরের তারামনি মিস্ত্রী, চট্টগ্রামের চত্মা চক্রবর্তী, রাজশাহীর মোছা. ফিরোজা বেগম, মোসা. আঙ্গুরা বেগম, ঝিনাইদহের নিহারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাজেরা ওরফে কুটি, শেরপুরের অজুফা ও মোছা. করফুলি, দিনাজপুরে মোছা. শেফালী বেগম, সিরাজগঞ্জের মোছা. আনোয়ারা বেগম এবং বগুড়ার মোসা. রহিমা খাতুন বেলী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। সিলেটের কোকিলা বেগম, রেজিয়া বেগম, মায়া বিবি, জয়গুন নেছা, ললিতা নমসুদ্র, শহর বানু মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন।

    বীরাঙ্গনাদের মধ্যে আরও রয়েছেন- নওগাঁয়ের মায়া বালা, সুষমা বালা, ক্ষান্তা বালা পাল, রাশমনি সূত্রধর, রেনু বালা পাল, সন্ধ্যা রানী পাল, সুষমা পাল, কালী রানী পাল, গীতা রানী পাল ও বাণী রানী পাল এবং নরসিংদীর জোসনা বেগম, হাছিনা ও হাজেরা খাতুন।

    বিএম/এমআর