কাশ্মীরের ৩ শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার, আরও উত্তপ্ত পরিস্থিতি

    আগে থেকেই গৃহবন্দি ছিলেন। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হল জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে। এছাড়া বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সাজ্জাত লোনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    সোমবার মেহবুবাকে পুলিশ নিজের হেফাজতে নিয়ে হরি নিবাস গেস্ট হাউসে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

    জওহরলাল নেহেরুর আমলে ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদার ৩৭০ ধারাটি বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

    সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর রাজ্যসভায় এ ঘোষণা দেন। সেই সাথে জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্র শাসিত আঞ্চল করার প্রস্তাব দেয় কেন্দ্র সরকার। ‘গণতন্দ্রের সবচেয়ে কালো দিন’ বলে জানিয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।

    এর আগে দুই দফায় কাশ্মীরে ২৮ হাজার সেনা মোতায়েন করে ভারত। আজ যাচ্ছে আরও ৮ হাজার সেনা। এছাড়া জরুরি অবস্থা জারি করে কাশ্মীর বেশ কয়েকজন নেতাকে গৃহবন্দী করা হয়। এরপর বিকালে এল তিন নেতাকে গ্রেপ্তারের খবর।

    বিজেপির সঙ্গে জোট করে এক সময় জম্মু-কাশ্মীরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মেহবুবা। কিন্তু গত বছর জুনে সেই জোট ভেঙে যায়। পতন হয় সরকারের। গত সপ্তাহে কেন্দ্রের তরফে কাশ্মীরে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগের পর থেকে উপত্যকার রাজ্যনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন পিডিপি নেত্রী। উপত্যকার বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করতে মুল ভুমিকা নেন তিনি। মূলত মেহবুবার উদ্যোগে রবিবার ফারুক আবদুল্লার শ্রীনগরের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিল কাশ্মীরের দলগুলি।

    এদিকে, এই তিন নেতাকে গ্রেপ্তারের ফলে কাশ্মীর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা। ইতোমধ্যেই সব ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে টহল জোরদার করেছে প্রায় দেড় লাখ সেনা। সাথে আছে পুলিশ সদস্যরাও। পুরো কাশ্মীর জুড়েই বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেটট সেবা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব স্কুল কলেজও। এমনকি আজ কাশ্মীরের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খোলা হয়নি।

    বিএম/এমআর