বোয়ালখালীর ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

    ইউএনও’র বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

    বোয়ালখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. একরামুল ছিদ্দিকের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন এক নারী কর্মকর্তা।

    শ্লীলতাহানির শিকার ওই নারী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

    অভিযোগে বলা হয়, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বোয়ালখালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মো. একরামুল ছিদ্দিক ফোন করে কার্যালয়ে ডেকে নেন। এ সময় কার্যালয়ে নির্বাহীসহ চার ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

    তাদের সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। গালিগালাজ শুনে ওই নারী কর্মকর্তা কান্নায় ভেঙে পড়লে অন্যান্য উপস্থিত ব্যক্তিদের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন ইউএনও।

    তারা বের হয়ে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত ইউএনও একরামুল ছিদ্দিক জড়িয়ে ধরে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করে ওই নারী কর্মকর্তাকে। এ সময় ইউএনও বলেন, ‘তুমি মাইনোরিটি সম্প্রদায়ের অবিবাহিত শিক্ষিত মেয়ে উল্লেখ করে সম্মানহানির ভয়ভীতি দেখিয়েছে।

    এ ঘটনার পর থেকে কর্মস্থলে যেতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান ওই নারী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ফোন করে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বলেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও।

    জাতীয় মহিলা সংস্থার তথ্য আপা প্রকল্পের তথ্য সেবা কর্মকর্তা হিসেবে বোয়ালখালীতে কর্মরত রয়েছেন ওই নারী কর্মকর্তা।

    তিনি আরো জানান, ‘সরকারি কোনো দরকারি ফাইলে সই করাতে গেলে ইউএনও দেড় দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখতেন। এছাড়া অন্যান্য সহকর্মীদের মাধ্যমে ফাইল পাঠানো হলে তিনি খারাপ ব্যবহার করে ফেরত পাঠাতেন। এ বিষয়ে ইউএনও বলেছেন ফাইল আমাকে নিয়ে যেতে হবে, তবেই তিনি সই করবেন।’

    এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন ওই নারী কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক পারভীন আক্তারকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

    এদিকে পুরো ঘটনাকে মিথ্যা বানোয়াট ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলছেন বোয়ালখালীর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. একরামুল ছিদ্দিক। তিনি বলেন, জাতীয় দৈনিকের এক সাংবাদিকের সাথে এই নারীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। মহিউদ্দিন প্রায় তার সরকারী অফিসে এসে আড্ডা মারে। এ নিয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তারা অভিযোগ দিলে আমি ওই নারী কর্মকর্তাকে ডেকে বিনা প্রয়োজনে ওই যুবককে অফিসে না আনার জন্য নির্দেশ দিই। এতে ওই যুবকের প্ররোচনায় এই নারী আমার বিরুদ্ধে ডিসি স্যারকে অভিযোগ দিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

    বিএম/পি এস/ আর এস

    আরো: মাদামবিবির শাহ্জাহান উচ্চ বিদ্যালয়ে নৌবাহিনীর ডেঙ্গু সচেতনতা সভা