সাবেক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ আট জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে পরস্পরের যোগসাজশে সরকারি প্রকল্প ও উপজেলার ১৬ টি দোকানের ভাড়া ও অগ্রিম বাবদ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

    মামলায় ফটিকছড়ির নারায়ন হাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, দুই ইউপি সচিব ও চার ঠিকাদারসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    বুধবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী বাদি হয়ে মামলটি দায়ের করেন।

    আসামিরা হলেন, ফটিকছড়ির নারায়নহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদ (৫৩), একই উপজেলার ভূজপুর থানার পালপাড়ার মৃত যাত্রা মোহন পালের পুত্র সুধীর কুমার পাল (৫৫), নারায়নহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন (৪০), বর্তমানে তিনি পূর্ব গুমান মর্দ্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, নারায়নহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (৩৫), বর্তমানে তিনি ফটিকছড়ির দাঁতমারা এ বি জেড সিকদার উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, মেসার্স তৈয়ব এন্টারপ্রাইজ’র প্রোপ্রাইটর মো. তৈয়ব (৩৫), মেসার্স এম কে এন্টারপ্রাইজ’র প্রোপ্রাইটর মোজাফফর কামাল চৌধুরী (৫৫), মেসার্স আর এন এন্টারপ্রাইজ’র প্রোপ্রাইটর মো. রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং মেসার্স হাজী আহমদ হোসেন মীরের প্রোপ্রাইটর মো. আবু তাহের (৪০)।

    দুদক সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১-১২ অর্থ বছর থেকে ২০১৫-১৬ অর্থ বছর পর্যন্ত সরকারী বরাদ্দ ৬টি প্রকল্পের ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৬৭ টাকা এবং অক্টোবর ২০১১ থেকে জুলাই ২০১৬ পর্যন্ত ফটিকছড়ির নারায়নহাট ইউনিয়ন পরিষদের অধীন ১৬ টি দোকান ভাড়া ও এককালীন অগ্রীম ৪ লাখ ৯৩ হাজার সহ ২টি খাত থেকে মোট ১২ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৭ টাকা পরস্পর যোগসাজশে ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্নসাত করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী বলেন, আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১১-১২ অর্থ বছর থেকে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৬ টি প্রকল্প ও উপজেলার অধীনে থাকা দোকানের ভাড়া ও অগ্রীম অর্থ আত্নসাতের ঘটনায় ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারায় আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

    দুদকের উপ পরিচালক মাহাবুবুল আলম বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে ফটিকছড়ির সাবেক চেয়ারম্যান, সচিবসহ মোট আটকজনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    তিনি আরো বলেন, এঘটনায় তদন্তে আর কাউকে সম্পৃক্ত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    বিএম/এম জুনায়েদ/রাজীব..