রাস্তার ধারে অবিক্রিত চামড়া ফেলে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা লাপাত্তা
    পঁচা চামড়ার গন্ধে ভারী পরিবেশ!

    পুজন সেন,বোয়ালখালী : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে অবিক্রিত শতশত কোরবানি পশুর চামড়া পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বিভিন্ন সড়কের ধারে এবং খালে। এতে চামড়া পচা গন্ধে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ।

    গত দুইদিন ধরে পড়ে থাকা এসব চামড়া পচন ধরায় দুর্গন্ধে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এতে নিঃশ্বাস নেওয়া দায় হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    বুধবার বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চামড়া বিক্রি করতে না পেরে শতশত চামড়া ফেলে লাপাত্তা হয়ে গেছে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। ন্যায্য দাম না পাওয়াতে এমনটি হয়েছে বলে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    এদিকে গ্রামে বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা না থাকাতে তৈরি হয়েছে বিব্রতকর পরিস্থিতি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধরা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ডেকে কোনো কোনো স্থানে মাটিতে পুঁতে ফেলতে নির্দেশনা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার প্রধান প্রধান খালের মধ্যে বোয়ালখালী খাল, ভাণ্ডালজুরি, ভারাম্বাখাল, হাওলা, রায়খালী, ছন্দারিয়া, বামন ইত্যাদি খালে ভেসে বেড়াচ্ছে চামড়া। এগুলো কোথাও কোথাও আটকে গিয়ে দুর্গন্ধে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ।

    এছাড়া পোপাদিয়া অন্নপূর্ণা হাট এলাকা, বেঙ্গুরা, হাজিরহাট, পশ্চিম গোমদন্ডী, কড়লডেঙ্গা এলাকায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখা গেছে অবিক্রিত শতশত চামড়ার স্তুপ। বুধবার পর্যন্ত এগুলো সড়ানো হয়নি। অধিকাংশের মালিকও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    বোয়ালখালীর হাজীরহাটের ব্যবসায়ী মো. নুরু আলম জানান, সংগ্রহকারিদের থেকে আমরা চামড়া কিনেছি ৫০ থেকে সর্বোচ্চ দেড়শ টাকা দরে।

    এতে সংগ্রহকারিদের গাড়ীভাড়াও জুটবে না। সুতরাং চামড়া ফেলে পালানো ছাড়া উপায় নাই।

    তিনি বলেন, ট্যানারি মালিকরা কেন এত অনাগ্রহ দেখাচ্ছে বুঝতে পারতেছি না। আমাদেরও ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হচ্ছে।

    এ ব্যাপারে পোপাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জসিম উদ্দিন বলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লোকসান দেয়াতে কোথাও কোথাও চামড়া রেখে লাপাত্তা হয়েছে। এতে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত এ চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।

    বিএম/রাজীব সেন..