ঈদ শেষেও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে রয়ে গেছে আমেজ
    সীতাকুণ্ডে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফকিরহাটে অবস্থিত উপজেলার একমাত্র সরকারি বিনোদন কেন্দ্র বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক।

    পবিত্র ঈদুল আযাহার কয়েকদিন অতিবাহিত হতে চললেও রয়ে গেছে আমেজ। দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে আছে সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে। সকাল থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত হাজার হাজার দর্শনার্থী ঈদ বিনোদনে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    অপরদিকে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী বিচে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থী জড়ো হতে দেখা যায়। এছাড়া ভাটিয়ারী গলফ এলাকায় সূদৃশ্য পাহাড়ের মাঝপথে সড়ক দু-পাশে বড় বড় লেক ও পাহাড় দর্শনার্থীদের মন কাঠছে।

    পার্ক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাখ-পাখলির কলরব, প্রবাহমান প্রাকৃতিক ঝরণা, মনোমুগ্ধকর চিরসবুজ বৃক্ষরাজি সমাহারে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে এ বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কটি। কোয়াটারনারী প্লিওসিন ভূতাত্ত্বিক যুগে ভূপিটিলা সিরিজের ও অপার মিডল টিপাম সেন্ডষ্টোনে তৈরী বোটানিক্যাল গার্ডেনে গর্জন, ধারমারা, ডেউরা, হলুদ, বাঁশপাতা, বহেরা, জারুল, পলাশ, সোনালু, শিমুল, হরিতকি, আমলকি ও বিরল প্রজাতির সাইকাসসহ রয়েছে ১৪৫ প্রজাতির উদ্ভিদ।

    এছাড়া হরিন, ভালুক, খরগোশ, মায়া হরিণের মত বিরল বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আনাগোনায় দর্শনার্থী ও পর্যটকের কাছে আরো আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক।

    পার্কের প্রবেশদ্বারে শাপলা ফুলে সজ্জিত পুকুর, নজরুলের মোরাল ও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ধরনের বাহারী ফুলের বাগান অনায়াসেই পর্যটকের মন কেড়ে নেয়। একইভাবে পার্কের প্রবেশমূখের দু-পাশে শিশুদের জন্য রয়েছে বিনোদনের পাশাপাশি খেলা-ধুলার মনমুগ্ধকর পরিবেশ।

    পার্কের সহস্রধারা ও সুপ্তধারার মত প্রবাহমান ঝর্ণা ও গোধুলীর রক্তিম সভায় তৈরী করা বোটানিক্যাল গার্ডেনের নৈসর্গিক পরিবেশ দেখতে প্রতিবছর ঈদ ও ঈদ পরবর্তী দূর-দূরান্তের দর্শনার্থী ও পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে পার্কটি।

    ঈদ উল আযহা উলেক্ষে পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে পর্যটন স্পটগুলো। তবে যোগাযোগের অবস্থায় ভাল না থাকায় আসা যাওয়া করতে অনেক কষ্ট হয় অভিযোগ পর্যটকদের। সারাবছরই দেশে-বিদেশী পর্যটকরা বেড়াতে আসেন এখানে।

    বিএম/কেআইডি/আর এস পি..