পরীক্ষায় ফেলের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে শিক্ষক, দশম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

    এবার পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ৮ মাস ধরে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেছেন এক শরীর চর্চা শিক্ষক। এতে ছাত্রীটি অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েছে। ওই শিক্ষকের নাম মো. জহিরুল ইসলাম গাজী। তিনি বরগুনা জেলার কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

    এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জহিরুলকে শনিবার সকালে আমতলী চৌরাস্তা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম ২০১৫ সালের ২২ জুলাই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকেই ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি কয়েকবার প্রধান শিক্ষকের নজরে আনে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে তাকে শাসিয়ে দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে গত ডিসেম্বর মাস থেকে কয়েকদফা ধর্ষণ করেন। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে।

    এ ঘটনা ওই ছাত্রী শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে জানালে তিনি পেটে টিউমার হয়েছে বলে তাকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী নিয়ে গর্ভপাত করান।

    এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে গত ৩০ জুন জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

    এ ঘটনায় মেয়ের দাদা বাদি হয়ে গত ১ জুলাই আমতলী থানায় জহিরুল ইসলামকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। জহিরুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের বিত্তিতে শনিবার সকাল ১০টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ফয়সালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

    বিএম…