রেলের সেবা নিশ্চিতে কেন নির্দেশ নয় জানতে চায় আদালত

    রেলের সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

    এছাড়া, তাদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে এ রুল জারি করে আদালত।

    গত জুন মাসে মৌলভীবাজারের বরমচালে একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অব্যবস্থাপনার প্রতিকার চেয়ে রিট করেন এক আইনজীবী।

    এ ঘটনার পরে ২৯ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সেতুর কাছে ছয় মাসে সাতটি দুর্ঘটনা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মৌলভীবাজারের বাসিন্দা ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ।

    রিটের শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম।

    রুলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের রেল লাইন, রেল ব্রিজ ও কালভার্ট অবিলম্বে মেরামত করে পর‌্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, কিম্যান, ওয়েম্যান, গ্যাংম্যান ও পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরদের এক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের রেল লাইন, রেল ব্রিজ ও কালভার্ট অবিলম্বে মেরামত করে পর‌্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত, কিম্যান, ওয়েম্যান, গ্যাংম্যান ও পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরদের এক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

    চার সপ্তাহের মধ্যে রেল সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক, মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব জোন), বিভাগীয় প্রধান (পূর্ব জোন) ও একই জোনের প্রধান প্রকৌশলীকে।

    এছাড়া বরমছালের দুর্ঘটনার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা ২৪ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে রেলওয়ের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিএম…