ফেসবুকে নারীযাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ : হেলপার আটক

    চট্টগ্রাম মেইল : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি গ্রুপ পোস্টে অভিযোগ উঠে ১০ নং রুটের একটি বাসের হেলপার নারীযাত্রীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে। বুধবার রাতেই পোস্টটি চোখে পড়ে বিআরটিএ আদালত-১২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হকের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাসটি জব্দ করতে অনুসন্ধানে নামে তিনি।

    দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের সামনে থেকে গাড়িটি জব্দ করেন। তবে ওইসময় বাসটির অভিযুক্ত সে হেলপারকে পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ ও পরিবহণ শ্রমিকদের সহায়তা নিয়ে একই দিন বিকেলে অভিযুক্ত সে হেলপারকে আটক করতে সক্ষম হয়।

    অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়ায় আটক হেলপার আমীর হোসেন (৪২)কে ৪ মাসের কারাদন্ড দিয়ে ১০ নম্বর রোডের বাস (চট্টমেট্রো জ-১১১৬০৫) টি জব্দ করেন বিআরটিএ আদালত-১২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক।

    জানা গেছে, বুধবার সকালে নগরীর ২ নং গেইট থেকে উঠে দেওয়ান হাট যাচ্ছিল এক তরুণী। বাসটি জিইসি এলাকায় গেলে বাসটির হেলপার তরুণীর গায়ে হাত দিলে দুজনের মধ্যে তর্ক হয়। তবে বাসের অন্যান্য যাত্রীরা প্রতিবাদ না করায় হেলপারের সাহস বেড়ে যায়।

    পরে গরীবুল্লাহ শাহ এলাকা থেকে আরো ৩ নারীযাত্রী বাসে উঠলে তাদের গায়েও হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এবার এ ঘটনায় এক যুবক প্রতিবাদ জানিয়ে বাসটি ও বাসের হেলপারের ছবি তুলে ফেসবুকের একটি গ্রুপে পোস্ট করেন। পরে পোস্টটি বিআরটিএ’র ম্যাজিষ্ট্রেট মনজুরুল হকের চোখে পড়লে আজ নগরীতে অনুসন্ধান চালিয়ে বাসটি জব্দ করার পাশাপাশি হেলপারকে আটক করে দ-িত করে ম্যাজিস্ট্রেট।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক বলেন, কয়েকজন নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টায় অভিযুক্ত ১০ নং রুটের (চট্টমেট্রো জ ১১-১৬০৫) নম্বরের বাসটি দামপাড়া পুলিশ লাইনের সামনে থেকে জব্দ করা হয়। এসময় গতকালের অভিযুক্ত সেই হেলপারকে পাওয়া যায়নি। পরে সে হেলপারকে আটক করা হয়।

    তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করায় তাকে হেলপার আমীর হোসেনকে ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটের গণপরিবহনে নারী যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বললেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    বিএম/আরএসপি..