৬৭ রানে অলআউট ইংল্যান্ড

    বিধ্বংসী বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে মাত্র ৬৭ রানে অল আউট করে দিল অজি পেসাররা। লিডসে দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির কিছুপরেই অল আউট ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১১২ রানের লিড নিয়ে নিল অজিরা।

    ওয়ানডে বিশ্বকাপ প্রথমচ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নেমেই জুলাই মাসে আয়ারল্যান্ডের মতো তরুণ দলের বিপক্ষে ৮৫ রানে অলআউটের লজ্জায় পড়েছিল।

    সেই ক্ষতে প্রলেপ দেয়ার আগেই এক মাসের ব্যবধানে ফের শতরানের নিচে অলআউটের লজ্জায় পড়ল ইংলিশরা।

    টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৮০ রানের নিচে এ নিয়ে ২৩ বার অলআউটের লজ্জায় পড়ল ইংল্যান্ড। তবে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২৬ রানে অলআউটের লজ্জার রেকর্ড রয়েছে নিউজিল্যান্ডের।

    ১৭৯ রানের জবাবে ৬৭! প্রথমদিন ১৭৯ রানে অস্ট্রেলিয়াকে অল আউটকে করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। আর্চারের পেসের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই এবার পালটা ধাক্কা। আর্চারের পাল্টা দিলেন জোস হ্যাজেলউড-কামিন্স। বিধ্বংসী বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে মাত্র ৬৭ রানে অল আউট করে দিলেন তিনি। লিডসে দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির কিছুপরেই অল আউট ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১১২ রানের লিড নিয়ে নিল অজিরা।

    প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কার্যত এদিন অজি পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। দু-অঙ্কের রান পেরিয়েছে মাত্র একজন। জো ডেনলির করা ১২ রানই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপের সর্বোচ্চ। বাকি ব্যাটসম্যানদের রান সংখ্যা পরপর রাখলে টেলিফোন নম্বরের কথা স্মরণে আসবে- জো বার্নস (৯), জেসন রয় (৯), জো রুট (০), বেন স্টোকস (৮), জনি বেয়ারস্টো (৪), জোস বাটলার (৫), ক্রিস ওকস (৫), জোফ্রা আর্চার (৭), স্টুয়ার্ট ব্রড (৪) এবং লিচ (১)।

    হ্যাজেলউডের ৫ উইকেটের পাশাপাশি কামিন্স নেন ৩ উইকেট। প্যাটিনসনের সংগ্রহে জোড়া উইকেট। অ্যাসেজের শেষ ৭১ বছরে এটাই ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর।

    বিএম/এমআর