দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি অতন্দ্র প্রহরী

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনটি আমাদের সবার জন্য আনন্দ ও প্রেরণার। ১৯৭৮ সালে শহীদ জিয়া দেশের এক ক্রান্তিকালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    বাকশালী একদলীয় দু:শাসনের জেরে দেশের চরম জাতীয় সংকটে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল তা পূরণে বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি অতন্দ্র প্রহরী। দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

    তিনি আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকালে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাজীর দেউরী মোড় থেকে গণমিছিলসহকারে এসে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

    এতে ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আজ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন। ৫ জানুয়ারি ও ৩০ ডিসেম্বর তামাশার নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। দেশবিরোধী নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে বর্তমান সরকার জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দেশব্যাপী পথে-ঘাটে শুধু লাশের মিছিল। বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি নিয়ে হাহাকার চারদিকে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

    দেশজুড়ে গণহত্যা. গুম, গুপ্তহত্যা, নারী ও শিশুদের ওপর পৈশাচিকতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহোৎসব চলছে। মানুষের প্রতিবাদী জাগরণকে চাপা দেয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রেখেছে।

    তিনি গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা ও দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য জনগণকে আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

    সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ জিয়া ১৯৭৮ সালে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায় বিচারের অর্থে সমাজতন্ত্র এই চার মূলনীতির উপর ভিত্তি করে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    এই দলের মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্রায়ন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের মধ্যে স্বনির্ভরতার উত্থান ঘটানো। এগুলোর ভিত্তিতেই জিয়াউর রহমান ১৯ দফা ঘোষণা করেছিলেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দেশে শুরু হয় উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, দেশে এখন এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান। জনগণের অধিকার আদায়, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

    তাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এইদিনে নেতাকর্মীদের আন্দোলনের লক্ষ্য হবে, হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জনগণের মানবিক মর্যাদা সুরক্ষা করা।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, জয়নাল আবেদীন জিয়া, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, মাহবুবুল আলম, এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, সহসাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন, সামশুল আলম, জি. এম আইয়ুব খান, আবু জহুর, সম্পাদকবৃন্দ শিহাব উদ্দিন মুবিন, মোহাম্মদ আলী মিঠু, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কমান্ডার শাহাব উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, আব্বাস রশিদ, এইচ এম রাশেদ খান, হামিদ হোসেন, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, আবদুল নবী প্রিন্স, মোহাম্মদ আলী, মো. বখতেয়ার, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, ইয়াকুব চৌধুরী, মো. নুরুজ্জামান, শহীদুল ইসলাম শহীদ, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, কাউন্সিলর মো. আজম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লা আল হারুন, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, সালাহ উদ্দিন কায়সার লাবু, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, জেলী চৌধুরী, এড. নেজাম উদ্দিন খান, ডা. লুসি খান, আজাদ বাঙালী, আরিফ মেহেদী, ইউনুস চৌধুরী হাকিম, আবু মুসা, শফিক আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, হাসান লিটন, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, মনির আহমদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন জিয়া, হাজী বাদশা মিয়া, শরীফ উদ্দিন খান, নূর হোসাইন, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গির আলম, হাবিবুর রহমান হাবিব, অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    কণ্ঠশিল্পী আবদুল মান্নান রানা, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, মামুনুর রশিদ শিপন, এড. আবদুল আজিজ, মনিরুজ্জামান মুরাদ ও ৪৩ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগ দেন।

    বিএম/আরএসপি..