বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের স্বাধীনতা থাকবে

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের স্বাধীনতা থাকবে। আমাদের সংবিধানের যে চার মূলনীতি সেখানেও তাই বলা আছে।

    আমাদের ধর্মেও তাই বলা হয়েছে, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। যে কারণে আমি যখন মসজিদভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নের চেষ্টা করলাম, তখন মন্দিরভিত্তিক শিক্ষাও চালু করি।

    আজ বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

    খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিজেদের খাটো করে না দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের যে সংবিধান দিয়ে গেছেন সেখানেও কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা রয়েছে। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। আমি আপনাদের প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কি এই রাষ্ট্রের নাগরিক না? তাহলে নিজেদের ছোট করে দেখবেন কেন?

    শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্রাক-প্রথমিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ইমামদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি। সেই সঙ্গে পুরহিত-সেবায়েতের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। খ্রিষ্টান ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছি আমরা।

    শেখ হাসিনা বলেন, বাংলা ১৪শ’ সাল উদযাপন করার জন্য কমিটি করি তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তারা আমাদের বাঁধা দিয়েছিলো উদযাপন করতে দিবে না, আমরা তখন জোর করে উদযাপন করেছিলাম। এখন আমরা সরকারে এসে এটার জন্য উৎসব ভাতা দিচ্ছি এবং সকলে মিলে এই উৎসব উদযাপন করছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামায়াত জোটের চরিত্রটাই এরকম। কারণ আপনারা জানেন তারা কিভাবে অত্যাচার করে নির্যাতন করে।

    তিনি আরো বলেন, ১৯৯১ সালে তারা দুর্গম এলাকা সেখানেও মন্দিরে হামলা করেছে, নির্যাতন করেছে। আমরা ছুটে গিয়েছি। ঢাকার মন্দিরগুলোও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে বৌদ্ধ ধর্মের লোকজনও রেহাই পায়নি। বিএনপির কাজই ছিল ধ্বংসাত্মক। সব সময় বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা কেন নিজেদেরকে সংখ্যালঘু বলেন, তা আমি জানি না। আপনারা কি এই দেশের নাগরিক না? এই দেশ আপনাদের জন্মভূমি না? আপনারা এই দেশের মানুষ। নিজেদের কেনো ছোট করে দেখবেন। এখানে সবার সমান অধিকার রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমি কাজ শুরু করেছিলাম। আজ এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছি। তাদের আশার আলো দেখাতে, তাদের ভেতরে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আজ তারা উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    বিএম/এমআর