প্রয়োজনে থানায় গিয়ে ওসিগিরি করব: ডিএমপি কমিশনার

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অধীনস্থ কোনো থানায় মানুষ যদি কাঙ্ক্ষিত সেবা না পায় তাহলে প্রয়োজনে ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের থানায় গিয়ে দায়িত্ব পালন করানোর কথা বলেছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম। প্রয়োজনে তিনি নিজেও থানায় গিয়ে ওসিগিরি করবেন বলে জানান।

    রবিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন শফিকুল ইসলাম। ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের সেবার মধ্যে থানাকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে। থানা থেকে বেরোনোর পর মানুষ যেন সন্তুষ্ট হয়ে ফিরতে পারে সেই লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন পুলিশের হয়রানি ও চাঁদাবাজির শিকার না হন সেদিকেও আমরা নজর রাখব।’

    তিনি বলেন, থানায় পুলিশ সদস্যদের আচরণগত কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না হলে আমি নিজে থানায় গিয়ে ওসিগিরি করবো। সিনিয়র অফিসারদের থানায় বসিয়ে দেব। তারা থানায় বসে ওসিগিরি করব।

    শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাফিক ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমি গতকাল ট্রাফিকের উপকমিশনাদের (ডিসি) সঙ্গে বৈঠক করেছি। সকালে ও সন্ধ্যায় অফিসের সময়ে ট্রাফিকের যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে ডিসিদেরও মাঠে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছি।’

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নতুন ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জঙ্গিবাদ এমন একটি মতবাদ যার মধ্যে মানুষ একবার ঢুকে পড়লে তাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন। তবে আমরা জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনায় আইজিপি স্যার আমাদের নিয়ে বসেছিলেন, আমরা বেশকিছু প্রতিরোধ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।

    আরেক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘থানায় ওসিরা ভালো কাজ করলে তাদের অন্য থানায় কাজ করানো যেতে পারে। কারণ ডিএমপিতে কাজ করতে গেলে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। তবে কারও বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

    এ সময় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, গোয়েন্দা বিভাগের আবদুল বাতেন, ক্রাইম অ্যান্ড অপস বিভাগের কৃষ্ণপদ রায়, ট্রাফিক বিভাগের মীর রেজাউল আলমসহ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে শফিকুল ইসলামকে ডিএমপির কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগি তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    বিএম/এমআর