সরকারি কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণ করার নির্দেশ

    আকাশপথে চলাচলের সময় যে রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট আছে, সেসব ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সরকারপ্রধান বলেছেন, এখন বিমানে উঠলে গর্বে বুক ভরে যায়। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারি অফিসাররা যে যেখানেই যান, বাংলাদেশ বিমানেই যেতে হবে।

    মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে যুক্ত হওয়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চতুর্থ ও শেষ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন শেষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

    এর আগে বিকাল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) ভিভিআইপি টারমাকে ফিতা কেটে নতুন উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করেন তিনি।

    উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বিমানের জন্য আরও দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শোনেছি যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং আরও দুটি বিমান বিক্রি করবে। তাদের কাছে ওয়ার্ডার দিয়ে নেয়নি। কাজেই আমরা সেই যুযোগটা নেব।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বিমানের যে অবস্থা ছিল সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা যখন বাহিরে যেতাম বা বিশেষ করে লন্ডনে বা আমেরিকায় যাওয়া হতো তখন বিমান ব্যবহার করতাম। তখন বিমানের যে ঝরঝরে অবস্থা ছিল, আগে প্লেনে উঠলে পানি পড়ত, টিস্যু দিয়ে পানি পড়া বন্ধ করা হতো, কোনো এন্টারটেইমেন্টের ব্যবস্থাই ছিল না। মাঝে মাঝে আমি ককপিটে যেতাম, কথা বলতাম। কারণ আমি ভাবতাম এরকম একটা ঝরঝরে অবস্থায় প্লেন কীভাবে আমাদের পাইলটরা চালায়। আমি বলতাম যে, আমাদের পাইলটদের বিশ্বসেরা পাইলট হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দেয়া উচিত এই ধরনের একটা ঝরঝরে প্লেন চালানোর জন্য।

    তিনি বলেন, মাঝে মাঝে আমরা ঠাট্টা করতাম যে, আমাদের ঢাকা শহরে এক সময় যে বাসগুলো চলতো সেগুলো খুবই বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। সেগুলোকে আমরা ডাকতাম মুড়ির টিন বলে। এরকম একটা অবস্থা ছিল আমাদের বিমানে।

    শেখ হাসিনা বলেন, স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলে ছিলাম তখন কিছু করার ক্ষমতা ছিল না। কিন্তু মনে মনে একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, যখনই সময় পাব এ অবস্থা থেকে বিমানকে উত্তরণ ঘটাব।

    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যেই আমাদের দশটি প্লেন চলে এসেছে। অরুণ আলো, গাঙচিল ও পালকী, হংসবলাকা, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত, আকাশবীণা, ময়ূরপঙ্খী ও রাজহংস। এসব নামকরণ আমি করেছি। আমরা চেয়েছি যে একটা সুন্দর নামকরণ হোক।

    তিনি বলেন, ৭৮৭ বোয়িং চারটি এসেছে। আরও তিনটি বিমান আমরা কিনব। একটানা ক্ষমতায় থাকার কারণেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, সুফল পাচ্ছে জনগণ।

    বিএম/এমআর