চট্টগ্রাম মেইল : আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে ভুমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা বাবুপুত্র সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদই এবার একই মন্ত্রণালয়ের পূণ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন। মন্ত্রীসভার জন্য মন্ত্রীপরিষদের বিভাগ থেকে ফোন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাবেদের একান্ত সহকারিরা।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে, নবম,দশম ও একাদশ জাতীয় সসদ নির্বাচনে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। দশম জাতীয় সংসদে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও একাদশ সংসদের জন্য তাকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দশম সংসদে ভুমি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন শামসুর রহমান শরীফ।
চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ আওয়ামী লীগের প্রয়াত বর্ষীয়ান নেতা আকতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ছেলে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬৬ জন ভোটারের এ আসনে ১০৬ টি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী তিনি সর্ব্বোচ্চ ২,৩৭,৫৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সরওয়ার জামাল নিজাম (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮শ ৫৩ ভোট। এই আসনে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৭১৭ জন। মহিলা ভোটার ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪৯ জন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, শিল্পোদ্যোক্তা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা এবং ইউসিবি’র প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে। মাতার নাম নাম নুর নাহার জামান। সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে যান উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে। মূলত সাইফুজ্জামান চৌধুরী তার বাবার মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ আসনের সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী মারা গেলে ওই আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তা ছেলে জাবেদ। এরপর ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পান ভ’মি প্রতিমন্ত্রীর। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান, আরামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্টও ছিলেন।
বিএম/রাজীব সেন প্রিন্স….