উপকূলে লবণের দাম কম চাষিরা হতাশ

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় অঞ্চলে অপরিশোধিত লবণের ব্যাপক উৎপাদন হচ্ছে। লবণ চাষাবাদে আড়াই মাস অতিবাহিত হয়েছে। প্রথম মাস লবণের দাম কিছুটা সন্তোষজনক পেলেও চলতি মাসে লবণের দাম অনেকাংশে কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। বর্তমান লবণের দাম আরো কমে গেলে বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে প্রান্তিক চাষীদের অভিযোগ।

    জানা যায়,গত বছর লবণ চাষীরা সাড়ে ৪শত থেকে ৪শ টাকা পর্যন্ত লবণের দাম পেয়েছিল। লাভবান হয়েছিল জমির মালিক, প্রান্তিক চাষী, খুচরা ও পাইকারী লবণ ব্যবসায়ীরা।

    এদিকে চলতি বছরের লবণ মৌসুম শুরুতেই লবণের দাম ৩শ টাকা ছিল। যা প্রথমমাস স্থীতি ছিল। বর্তমানে লবণের দাম মণ প্রতি ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা। প্রান্তিক চাষীরা প্রতিকানি মাঠ বর্গা নিয়েছেন সর্বনিম্ন ১৮ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তার পাশা পাশি রয়েছে শ্রমিক,পলিথিন ক্রয়সহ আনু সাঙ্গিক খরচ।

    প্রতি কানিতে লবণ উত্তোলণ হয় ছয় মাসে ২শত মণ থেকে শুরু করে আড়াই শত মণ পর্যন্ত। যার কারণে বর্তমান লবণের দাম আর খরচ প্রায় সমান পর্যায়ে। দাম আরো কিছু কমলে ক্ষতির সম্মুক্ষীন হবে চাষীরা। বর্তমান দাম স্থীতিবস্থায় থাকলেও আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে লবণ চাষী-ব্যবসায়ীরা।

    লবণ ব্যবসায়ীর মতে,গত বছর প্রতি মণ লবণ বিক্রি হয়েছিল সর্বোচ্চ ৪৮০ টাকায়। এ মৌসুমে শুরুর দিকে মণপ্রতি লবণের দাম ছিল ৩০০ টাকা,এখন আবার ২২০ টাকায় নেমেছে। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরে একদম কম দামে বিক্রি হচ্ছে লবণ। যার কারণে চাষীরা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। উচিৎ মূল্যে না পেলে চাষীদের বড় ধরণের ক্ষতি হবে। 

    পোকখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোজাহের আহমদ জানান,লবণ চাষীরা এমনিতেই বর্গা নিয়ে লবণ চাষ করে। তার মাঝে দাম কমে যাওয়ায় চাষীরা হতাশ হচ্ছেন। বর্তমান স্থিতি অবস্থা থেকে দাম কমে গেলে চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।তিনি আরো জানান, কিছু কতিপয় ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে লবন আমদানী করে এনে দেশীয় লবনের দাম কমিয়ে ফেলছে।

    পোকখালীর গোমাতলীর লবন চাষী সাবেক যুবনেতা দেলোয়ার জানান, তিনি দীর্ঘ বছর ধরে ১৫/১৬ কানি লবন চাষাবাদ করে যাচ্ছেন। বিগত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে লবনের দাম কমে যাওয়ায় বর্তমানে হতাশায় ভোগছেন চাষী ও ব্যবসায়ীরা।

    ইসলামপুরের ইউপি সদস্য আবদু শুক্কুর জানান, বর্তমান মৌসুমে লবনের দাম কমেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে চাষী ও ব্যবসায়ীদের আশা হবে গুড়েবালি।

    বিএম/ইসলাম/রাজীব…