কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ ভুমিমন্ত্রীর

    চট্টগ্রাম মেইল : দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, প্রভাবশালী মহলকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে কর্ণফুলী নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি। সোমবার থেকে শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান।

    আজ শনিবার বিকেলে কর্ণফুলি নদীর সদরঘাট পয়েন্টে উচ্ছেদ অভিযানের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে যান ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ। এসময় তিনি বলেন, কর্ণফুলী বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে। আর এ কর্ণফুলি রক্ষায় অবৈধ দখলদাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসনে কর্মরত সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

    এসময় তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন দালালদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, যত বড় ক্ষমতাশালীই হোক না কেন সরকারের চাইতে বড় প্রভাবশালী কেউ নেই। কর্ণফুলি বাঁচাতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ হবেই। এখানে কারো কোন তদবির কাজে আসবে না।

    উচ্ছেদ অভিযানের জন্য চিহ্নিত স্থানগুলো পরিদর্শণের সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, উচ্ছেদ কার্যক্রমের সমন্বয়ক তাহমিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শণ শেষে মন্ত্রী তার নিজ সংসদীয় এলাকা আনোয়ারায় পূর্ব নির্ধারিত চেক বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাইকোটের একটি আদেশ অনুযায়ি কর্ণফুলী নদীর দুপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত জরুরি সভায় কর্ণফুলি দুপারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

    জানা যায়, ২০১৫ সালে কর্ণফুলীর সীমানা নির্ধারনের পর নদীর দুই পাশে সীমানা পিলার স্থাপন করে প্রশাসন। তবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় কিছু পিলার ক্ষতিগ্রস্থ এবং কিছু পিলার দখলদাররা ভেঙ্গে ফেলে।

    এ জন্য উচ্ছেদ অভিযানের আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে সীমানা পিলার ঠিক করা এবং অবৈধ দখলদারদের নিজ দায়িত্বে সরে যেতে মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।

    উচ্ছেদ কার্যক্রমের সমন্বয়ক তাহমিলুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে কর্ণফুলীর উত্তর পাশে (শহরের অংশে) সীমানা পিলার ঠিক করার কাজ ও উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। এ পাশে কাজ শেষ হলে দক্ষিণ পাশে (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) অংশে) সীমানা পিলার ঠিক করার কাজ ও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।

    ২০১০ সালের ১৮ জুলাই পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ এর পক্ষে জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

    বিএম/রাজীব সেন…