জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রী

    বিএম ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি বিএনপিকেও ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    ২০ ফেব্রুয়ারি, বুধবার জাতীয় জাদুঘরের মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    একই দিন চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘১৯৭১ সালে জামায়াত স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। এ জন্য তাদের দুঃখ, লজ্জা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। এটা যেমন যুক্তিসংগত দাবি, তেমনি আরও যুক্তিসংগত দাবি আছে। স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছে, অবশ্যই তাদের শাস্তি ও বিচার চাই।’

    নজরুল ইসলাম খানের মন্তব্যের পর জাতীয় জাদুঘরের মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী দলগতভাবে ক্ষমা চাইলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা, গণহত্যা-অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন থেকে দায়মুক্তি পেতে পারে না। দায়মুক্তি পাবে না। একইভাবে জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, তাদের সঙ্গে জোট গঠন করে একসঙ্গে নির্বাচন করা ও সরকার গঠন করার জন্য বিএনপিও একই অপরাধে অপরাধী। ফলে বিএনপিও দায়মুক্তি পেতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি বিএনপিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে দেখতে পাচ্ছি যে জামায়াতে ইসলামীর ভেতর থেকে দাবি উঠে এসেছে ক্ষমা চাওয়ার। তাদের কয়েকজন নেতা ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। আমি মনে করি, এই পদত্যাগের ঘোষণা বা তাদের মধ্য থেকে ক্ষমা চাওয়ার যে কথাবার্তা বলা হচ্ছে, এগুলো দেশি-বিদেশি চাপ মুক্ত হওয়ার একটি কৌশল।’

    আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সব দেশ বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আজকে শেখ হাসিনার কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয় বাংলাদেশে সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গেছে। অথচ আমাদের দেশের কিছু রাজনীতিক দল দেশের অগ্রযাত্রাকে টেনে ধরার চেষ্টা করছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, যারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়, তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।’

    বিএম/রনী/রাজীব