চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রামের পটিয়ায় গেল মাসের ৬ জানুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন দৈনিক নয়াদিগন্তের চট্টগ্রাম ব্যুরো’র স্টাফ রিপোর্টার ওমর ফারুকের পরিবার। এসময় তার বাস ভবনে ব্যাপক ভাংচুর এবং তার বৃদ্ধ মা মারধরের শিকার হন।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে সাংবাদিক পরিবার। তবে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবুল কামাল, আবুল কাশেম ও সোহেল এখনও ধরা পড়েনি।
এলাকাবাসী বলছে, হামলাকারীরা জামিনে এসে প্রকাশ্যে ঘুরছেন। তাদের প্রায় প্রতি দিনই এলাকায় দেখা যাচ্ছে। তারা হামলার শিকার পরিবারটিকে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।
ওমর ফারুক পরিবারের অভিযোগ, জামিনে এসে আসামিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। বাসার কাছে এসে গালিগালাচ করছে। তারা এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করছে না।
আহত আনোয়ারা বেগম বলেন, তার উপর হামলার আসামিরা মামলায় জামিন নিয়ে এলাকায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। মোবাইলে ফোন করে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। প্রায় সময় বাসার সামনে এসে আসামিরা গালি দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
মামলার বাদি সাইফুদ্দিন মো.খালেদ বলেন, ‘মামলায় জামিন পেয়ে গত কয়েকদিন ধরে হামলাকারীরা এলাকায় এসে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা মামলা তুলে নিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে চাপ প্রয়োগ করছে। এদের ভয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে সবসময় আতঙ্কে রয়েছি।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ শিপন বলেন, মামলার প্রধান আসামি কালাম পলাতক রয়েছে। বাকি আসামিরা জামিনে রয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য : গত ৬ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে সন্ত্রাসী আবুল কালামের নেতৃত্বে কাশেম, সোহেলসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী পটিয়া উপজেলার পশ্চিম হাইদগাঁওস্থ ইজ্জ্যারপুকুর পাড় এলাকায় সাংবাদিক ওমর ফারুকের বাস ভবনে হামলা চালায়। এসময় জানালার কাচ ও দরজা ভাংচুর এবং লুটপাট করে।
হামলাকারীরা তার বৃদ্ধা মা আনোয়ারা বেগমকে (৬৭) মারধর করে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওমর ফারুকের বড় ভাই সাইফুদ্দিন খালেদ বাদি হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২জনকে আসামি করে ওইদিন রাতে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিএম/রাজীব…