ডিজিটাল বাণিজ্যের কেন্দ্রে থাকবে বন্দর ও শিল্পনগর চট্টগ্রাম-মোস্তফা জব্বার

    চট্টগ্রাম মেইল : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন বাংলাদেশকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে অংশ নিতে হলে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। ভৌগলিক কারণে চট্টগ্রাম ভালো অবস্থানে আছে। তাই বন্দর নগর, শিল্প নগর চট্টগ্রাম আগামীতে ডিজিটাল বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।

    তিনি আজ সোমবার সকালে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১২ জেলা) প্রকল্পে জমি দানকারী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

    নগর ভবনের চসিক সভাকক্ষে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। বিশ্বে শিল্প, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিপ্লব ঘটেছে। এক সময় হেনরি কিসিঞ্জার যে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বলেছিলো, এখন সেই অবস্থানে নেই। আজকের বাংলাদেশ যে রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাতে অচিরেই পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর কাতারে সামিল হবে। এক সময় ডিজিটাল বাংলাদেশের কনসেপ্ট নিয়ে লোকজন হাসাহাসি করতো। কিন্তু আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ, জীবনযাপনের রূপান্তর শিশুরা জানে। চট্টগ্রাম ডিজিটাল যুগে পেছনে পড়ে থাকতে পারে না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অবস্থান থেকে চট্টগ্রাম হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে।

    চট্টগ্রামে কোথায় হাইটেক পার্ক হবে বুঝতে পারছিলাম না। মেয়র ম্যাজিকের মতো জায়গা দেখালেন। এতে আমি অভিভূত। কোন প্রশ্ন, শর্ত ও বিধি বিধান ছাড়া একবাক্যে জায়গা দিয়ে দিলেন। তিনি বলেন চট্টগ্রাম শিল্প নগরী হিসেবে পরিচিত। মিরসরাইয়ে ইকোনোমিক জোন হচ্ছে। আগামী ৫বছরে সব কারখানায় ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে।

    ২০১৯ সালের পর দেশের এমন কোন ইউনিয়ন থাকবেনা যেখানে হাইস্পিড ইন্টারনেট থাকবেনা ইন্টারনেট একটি অবকাঠামো। বন্দরের জাহাজ চলাচল বা চসিকের দৈনন্দিন কার্যক্রম নির্ভর করবে প্রযুক্তির ওপর।

    মেয়র দুরদর্শিতার সঙ্গে চট্টগ্রামের সম্ভাবনাকে দেখেছেন। চট্টগ্রামের অবস্থান ভিন্ন। সারা বিশ্বের সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকায়ত সমুদ্র বন্দর নাই। চট্টগ্রাম ডিজিটাল ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রে থাকবে। গ্রামকে শহর করব এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। অর্থাৎ শহরের তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সুযোগ সুবিধাগুলো গ্রামেও নিয়ে যাওয়া হবে। মেয়র আমাদের সাথে যে সৌহার্দ্যপূণর্ সম্পর্ক স্থাপন করেছেন,সেজন্য ডিজিটাল চট্টগ্রাম তৈরিতে আমরা তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। সেবা ও জীবন যাপনে প্রযুক্তির সহযোগিতা কাজে লাগবে। হাইটেক পার্ক এ ক্ষেত্রে সহায়তা হবে।

    তিনি বলেন আমাদের বড় সম্পদ মানুষ। বাংলাদেশের ৬৫ ভাগ মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে আমরা বিশ্ব জয় করতে পারবো।

    পরে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্র্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

    বিএম/রাজীব সেন…