চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে র্যাবের সাথে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক জলদস্যু। বন্ধুক যুদ্ধ শেষে মরদেহ ও অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)। র্যাব জানায় সোমবার (২৫ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী বাঁশখালী উপজেলার ছোট ছনুয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার মো. মাশকুর রহমান মুঠোফোনে জানিয়েছেন তাদের কাছে সোর্সের দেয়া তথ্য ছিল ওই গ্রামে একটি জলদস্যু বাহিনী সাগড়ে অবস্থানরত জেলেদের নৌকা লুট করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন খবরে র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের চান্দগাঁও ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদি হাসানের নের্তৃত্বে র্যাবের একটি টিম সোমবার ভোরে ছনুয়া গ্রামে অভিযান চালায়।
মেজর মেহেদি হাসান জানান, র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা গুলি ছোঁড়ে। এসময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। র্যাবের সদস্যদের পাল্টা আক্রমনে টিকতে না পেরে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দস্যু বাহিনী। কিছুক্ষণ পর গোলাগুলি সংঘটিত স্থানে তল্লাশী চালিয়ে দস্যুবাহিনীর এক সদস্যকে গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে এখনও নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি রিভলভারসহ ৭টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২২ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের নের্তৃত্ব দেওয়া র্যাবের এ কর্মকর্তা।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার মো. মাশকুর রহমান জানান, বাঁশখালী এলাকায় জলদস্যুদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে আগে থেকে। এ বাহিনীটি অত্যন্ত হিংস্র ও ভয়ংকর। এরা মাঝ রাতে সাগরে অবস্থান করা সাধারণ জেলেদের নৌকা লুট করে থাকে।
অপহরণ করে গভীর সাগরে নিয়ে নির্যাতন করে। কখনো কখনো ধারালো অস্ত্র বা গুলি করে জেলেদের মেরে ভাসিয়ে দেয় সাগরে। এ হিংস্র জলদস্যু বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান মাশকুর রহমান।
বিএম/রাজীব সেন…