কটিয়াদীতে ভোট স্থগিত,এএসপি-ওসি প্রত্যাহার

    বিএম ডেস্ক : তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর সব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে শনিবার রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরে রাখা ও অনিয়মের অভিযোগে এ ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

    এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মো. শামসুদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    রোববার কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান কেয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. তাজুল ইসলাম জানান, রাতেই দুষ্কৃতকারীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখার অভিযোগে প্রথমে পাঁচটি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    এর পর নির্বাচন সচিবের নির্দেশে কটিয়াদী উপজেলার মোট ৮৯ কেন্দ্রের সব কার্যক্রম স্থগিত করে বন্ধ ঘোষণা করায় এখন আর এ নির্বাচন হচ্ছে না। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা কেন্দ্র থেকে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে মালামাল ও জনবল নিয়ে ফিরতে শুরু করেছেন।

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে ২৫ জেলার ১১৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ধাপে ১২৭ উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। বাকি ১০ উপজেলার মধ্যে ছয় উপজেলায় সব পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হচ্ছে না।

    তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

    ভোট হতে যাওয়া ১১৭ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৪০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৮৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ধাপের নির্বাচনে ৯ হাজার ২৯৮ ভোট কেন্দ্র ও এবং কোটি ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫১ ভোটার রয়েছেন।

    বিএম/রনী/রাজীব