আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কর্ণফুলী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ

    বিএম ডেস্ক : কর্ণফুলী নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এবার বন্দরকে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদেশে বলা হয় আগামি ৩০ দিনের মধ্যে আর এস সিট অনুযায়ী সকল স্থাপনা বন্দর এবং জেলা প্রশাসককে যৌথভাবে উচ্ছেদ করে হাইকোর্টকে জানাতে হবে।

    আজ ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও আশরাফুল কামালের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামি ১৯ মে।

    রিটকারী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, এবার কোন সংখ্যা নয়, নদী তীরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। বন্দর চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে বন্দর চেয়ারম্যানকে আদেশ দেয়া হয়েছে।

    ২০১০ সালের ১৮ জুলাই পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৫ সালে আর এস অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

    ২০১৬ সালের ১৬ অগাস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল। তবে উচ্ছেদ শুরু হয় প্রায় আড়াই বছর পর। গত ৪ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলীর তীরে নগরীর সদরঘাট থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়।

    টানা পাঁচদিন অভিযান চালিয়ে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১০ একরেরও বেশি ভূমি দখলমুক্ত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্যায়ের অভিযান। প্রথম পর্যায়ের উচ্ছেদ শুরুর পর আরও দু’টি ধাপে উচ্ছেদের কথা জানিয়েছিল জেলা প্রশাসন। চিহ্নিত করা দুই এলাকার মধ্যে আছে- নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে পতেঙ্গা এবং সদরঘাট থেকে চাক্তাই।

    বিএম/রাজীব…