বিএম ডেস্ক : অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবা উবারের গাড়ি ভাড়ায় নিয়ে ফেনসিডিলের চালান দিতে গিয়ে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে তিন মাদক ব্যবসায়ী।
আজ (শুক্রবার) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন তালতলার মুক্তি হাউজিং এলাকায় ফেনসিডিলভর্তি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
এ সময় র্যাবের সঙ্গে ওই তিন ব্যক্তির গোলাগুলি হয় বলে জানিয়েছে র্যাব -২ সূত্র।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে, ফেনসিডিলের বড় একটি চালান ঢাকায় ঢুকবে। ওই খবরের পর রাজধানীর পৃথক তিনটি স্থানে চেকপোস্ট বসায় র্যাব। সকাল ৯টার দিকে একটি প্রাইভেটকার সাভারের হেমায়েতপুরের চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশে সাড়া না দিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যায়। এ সময় এ বি সিদ্দিক নামে এক র্যাব সদস্য আহত হন।
তিনি জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে শেরেবাংলা নগর তালতলা মুক্তি হাউজিং এলাকায় র্যাব সদস্যরা গাড়িটি আটকে দেয়। দ্রুতগতির কারণে ৪টি সিএনজি ও ৫/৬টি রিকশাকেও ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এ সময় দুই মাদকব্যবসায়ী গাড়ি থেকে নেমে র্যাব সদস্যদের ওপর গুলি ছুঁড়ে। র্যাব সদস্যদের পাল্টা গুলিতে মো. আলম মিয়া নামের এক মাদকব্যবসায়ী আহত হন। অন্যজন পালিয়ে যায়।
অস্ত্র ও গুলিসহ আলম মিয়া আটকের পর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিসহ(ঢাকা মেট্রো-গ ২১ ৯৪২৩) শতাধিক বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
র্যাব-২ সূত্রে আরও জানা গেছে, আলম মিয়ার বাকি দুই সহযোগীকে খুঁজছে র্যাব। ধরা পড়ার আগে গাবতলীর কাছে মো. রহমান নামে আরেক মাদকব্যবসায়ী নেমে যান বলে জানিয়েছে আলম মিয়া।
ফেনসিডিল বহনকারী গাড়িটি মিরপুরের জনৈক উবার চালক রুমির কাছ থেকে ভাড়া নেন বলে র্যাবকে জানিয়েছেন আটক আলম মিয়া।
র্যাব-২ বলছে, আলম মিয়া পেশাদার মাদকব্যবসায়ী। উবারের গাড়ি ভাড়ায় নিয়ে ইয়াবা ও ফেনসিডিলের চালান কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিয়ে যেতে তিনি।
আলম মিয়াসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা থানায়, মাদক, র্যাব সদস্যদের ওপর হামলা ও অস্ত্র আইনে তিনটি পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিএম/রনী/রাজীব