গ্রেপ্তার এড়াতে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছে পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলেন গার্সিয়া।

    ব্রাজিলের কন্সট্রাকসন কম্পানি ‘ওডিব্রিচট’ থেকে ৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। তবে তিনি সবসময় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গার্সিয়া দুই মেয়াদে (১৯৮৫-৯০,২০০৬-১১) পেরুর প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

    মাথায় গুলি করলে তাকে পেরুর রাজধানি লিমার সাসিমিরো উলাও হসপিটালে নেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় সার্জারি করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মাথায় গুলিবিদ্ধ সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে বুধবার রাজধানী লিমার কাসিমিরো উলোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের সময়ে তিনি তিন দফা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ এবং ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দুই মেয়াদে পেরুর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যালান গার্সিয়া। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের সময় ব্রাজিলের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তদন্তকারীদের দাবি রাজধানীতে একটি মেট্রো লাইন নির্মাণের সময় ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গার্সিয়ার দাবি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেছেন তার বিরুদ্ধে কোনও ক্লু বা প্রমাণ নেই।

    ঘুষ গ্রহণের মামলা তদন্তের স্বার্থে গত নভেম্বরে গার্সিয়ার দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পেরুর একটি আদালত। পরে তিনি লিমায় উরুগুয়ের দূতাবাসে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। তবে তার সেই আবেদন প্রত্যাখান করা হয়।

    গতকাল বুধবার ভোরে লিমায় গার্সিয়ার বাসভবনে তাকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ কর্মকর্তারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তখনই নিজেকে গুলি করেন ৬৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

    বিএম/রনী/রাজীব