চট্টগ্রামে কিশোরী ধর্ষন, ৭দিন আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ : গ্রেফতার ৬

    চট্টগ্রামে কিশোরী ধর্ষন, ৭দিন আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ গ্রেফতার ৬

    চট্টগ্রাম মেইল : প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে প্রেমের প্রলোভনে এক কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মো. নিজাম উদ্দিন। সে আশ্বাসেই বিগত ৭দিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বাসায় আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন ধর্ষিতা।

    অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নামে সদরঘাট থানা পুলিশের একটি টিম। ধর্ষক নিজামসহ কিশোরীকে নির্যাতনকারী ৬ নারী পুরুষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১৬এপ্রিল) বিকালে সিএমপির সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    গ্রেফতার ছয়জন হলেন- সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মো. নিজাম উদ্দিন (৩০), তার স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৭), পপি বেগম (৩০), সোনিয়া বেগম (২২), মো. লিটন (২৯) ও ফিরোজা বেগম (৬৫)।

    সিএমপির সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, নগরীর আগ্রাবাদ মীর ফ্যাশন নামে একটি গার্মেন্টসে কাজ করা এক কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করা হয়েছে।

    অভিযোগে জানা যায়, কয়েক মাস আগে মীর ফ্যাশনের শ্রমিক ওই কিশোরীর সাথে নিজাম উদ্দিন (৩০) সিএনজি চালকের পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

    মেয়েটিকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। পরবর্তিতে বিয়ে করার কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে আগ্রবাদ চৌমুহনী নাজিরপাড়ায় একটা ভাড়া বাসায় উঠে নিজাম। সেখানে গত এক সপ্তাহ ধরে মেয়েটিকে আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে নিজাম।

    পরে বিষয়টি জানতে পেরে নিজামের পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে সেখান থেকে মাদারবাড়ি অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মারধরসহ শারীরিক নির্যাতন করে।

    ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন- মেয়েটি একজন নিরীহ কিশোরী গার্মেন্টস কর্মী। মা মারা গেছে, বাবা গরীব রিক্সা চালক। বাবা আরেকটা বিয়ে করে কুমিল্লা থাকে। মেয়ে সদরঘাট এলাকায় থাকে। ৮/৯ মাস পূর্বে একজন সিএনজি চালক বিবাহিত দুই সন্তানের জনক হওয়া সত্বেও নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ওই মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

    গত ১-৭ তারিখ পর্যন্ত বিয়ে করবে বলে আগ্রাবাদে একটি বাসা নেয়। পূর্বের স্ত্রী টের পেয়ে ঐ কিশোরীকে ধরে নিয়ে আসে ৭ তারিখ সারাদিন নির্যাতন করে চুল কাটে, গালে আগুন চ্যাকা দেয়, পুলিশকে না জানানোর জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। নির্যাতন করে ভিডিও করে।

    নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়ে কিশোরী ফুফুর বাসায় চলে যায় । পুলিশকে ভয়ে জানায়নি। আমরা সোর্স থেকে গতকাল সংবাদ পাওয়ার পর ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করে বিস্তারিত জেনে মামলা নিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছি।

    বিএম/রাজীব…