ফের দেবে গেছে চকরিয়ার মাতামুহুরী ব্রীজ : দুর্ঘটনার আশংকা

    চকরিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার চিরিংগা মাতামুহুরী সেতু মাঝখানের একাংশ ঝুঁকে গেছে। ফলে অনেকটা ঝুঁকির মধ্যেই চলছে যান-বাহন। এ ব্রীজে যেকোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে অপ্রীতিকর ভয়াবহ দূর্ঘটনা ও যান-মালের ক্ষয়ক্ষতি।

    ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ব্রীজের একাংশ নীচে তলিয়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে যান-বাহন চলাচলে সতর্কাবস্থা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তবে সেতুর দেবে যাওয়া ওই অংশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা ইট-কংকর-মাটি,গাছ ও লোহার সীড দিয়ে গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন।

    জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর চিরিংগা পয়েন্টে ৬ লেন বিশিষ্ট নতুন সেতু নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিক শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এজন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক অর্ডারও পেয়েছেন। ওই নির্মাণকাজ শেষ হতে অন্তত ৩ বছর সময় লাগবে। কিন্তু ওই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করছেনা পুরাতন সেতুতি।

    ইতিমধ্যে পুরাতন সেতুটি মেরামত করতে খরচ লেগেছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। তবে ক্ষুদ্র অংশের জন্য এত বেশি টাকা খরচ করেও কিইবা লাভ হল। মেরামত করে পুরাতন ব্রীজটি বুঝিয়ে দেওয়ার পূর্বেই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে ব্রীজের মধ্যখানের একটি অংশ দেবে যাওয়া ব্রীজের করুণ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি ভারি যান-বাহন ওই অংশ দিয়ে ব্রীজে আতংকিত দোলনা শুরু হয়।

    সাধারণ পথচারীরা ওই অংশ পৌছলে দোয়া-দরুদ পড়তে থাকেন। বর্তমানে ব্রীজের ওই স্থানে চিরিংগা হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা পাহারা দিচ্ছেন।

    সচেতন মহলের ধারণা: ব্রীজের এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় কি?। এ ব্রীজটি রক্ষার দায়িত্ব কি কাহারো নাই। তাহলে সরকারের কোটি কোটি টাকার বেতন দিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরী দিয়ে রাখার প্রয়োজন কি? তাই তারা সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    বিষয়টি অবহিত করে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, বিষয়টি অধিক গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তিনি সার্বিকভাবে তদারকি করছেন এবং জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালকের সাথে কথা বলেছেন। তবে তিনি যানবাহন চলাচলে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

    বিএম/নুরুদ্দোজা