শাঁখা সিঁদুর পড়ে প্রবর্তক মন্দিরে ৩ ভিন্নধর্মী নারী!

    চট্টগ্রাম মেইল : নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী এবং শ্রীলংকায় খ্রিস্টানদের চার্চে আত্মঘাতি জঙ্গি হামলার পর দেশজুড়ে যখন আতঙ্ক বিরাজ করছে ঠিক তখনই নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরে এক রহস্যময় ঘটনার সৃষ্টি হয়।

    “গত শুক্রবার দুপুরে প্রবর্তক ইস্কন মন্দিরে হিন্দু নারীদের মতই শাঁখা ও সিদুর পরে প্রসাদ নিয়েছে তিন ভিন্নধর্মী নারী। শুধুমাত্র প্রসাদের জন্যই এমনভাবে কেউ সাজতে পারেনা, মন্দিরের ভক্তরা মনে করছেন চুরি কিংবা কোন অসৎ উদ্দ্যেশে এ তিন মহিলা মন্দিরের চারপাশ রেকি করছিল।”

    জানা যায়, তিনজনের গতিবিধি প্রথম থেকে সন্দেহজনক মনে হলে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে নজরদারিত রাখে মন্দিরে আগত কয়েকজন ভক্ত। একপর্যায়ে তাদের চলনে ও কথাবার্তায় তারা হিন্দু নয় মনে হলে কয়েকজন নারী ভক্তকে দিয়ে তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা তিনজন মুসলিম নারী বলে স্বীকার করেন। তবে মন্দিরে প্রবেশের বিষয়ে এসব নারীরা কেউ মুখ খুলেনি।

    রাজীব দেব নামে মন্দিরের এক কর্মী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিননারীকে সন্দেহজনক হওয়ায় আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পুরো মন্দিরে ভক্তদের মাঝে আলোচনার সৃষ্টি হয়।

    মিল্টন নামে মন্দিরের অপর এক ভক্ত বলেন, শ্রীলংকায় চার্চে হামলার পর বাংলাদেশেও হিন্দুদের মন্দির এবং সকল ধর্মের পবিত্র স্থানগুলোতে হামলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে সকল হিন্দু মন্দির গুলোতে ভক্তরা সজাগ রয়েছে।

    শুক্রবার তিন মহিলার প্রবেশ এবং চাল চলনে সন্দেহ হলে তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। তিনজনই শাঁখা ও সিঁদুর পরিহিত হলেও কেউই হিন্দু নয়। তারা তিনজনই ভিন্নধর্মী নারী।

    এ ঘটনায় মন্দিরের ভক্তরা আরো আতঙ্কিত উল্লেখ করে মন্দির ও বিভিন্ন উপাসনালয়ে পর্যাপ্ত পরিমানে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন মন্দিরের ভক্ত মিল্টন।

    এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  ওসি আবুল কাসেম ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি তিন নারীকে প্রবর্তক মন্দির থেকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ঘটনায় মন্দিরের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের না করায় আটক তিনজনকে নিয়মিত ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।

    এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবউদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।

    বিএম/রাজীব