সীতাকুন্ড প্রতিনিধি : সীতাকুন্ডে ব্লাকমেইল করে এক ব্যবসায়ীর কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করতে গিয়ে আটক হয়েছে ইকবাল নামে এক যুবক। চাঞ্চল্যকর এ ঘটানাটি ঘটেছে উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায়।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর তিনটার সময় মোহাম্মদ সোহেল (৩৮) নামের মাদামবিবির হাট এলাকার এক ব্যবসাীর কাছে অজ্ঞাত এক মোবাইল থেকে ফোন করে জাহাজের স্ক্রাপ মালামাল আছে বলে ভাটিয়ারী এলাকার পশ্চিমে একটি ঘরে যেতে বলেন। সোহেল ঐ এলাকায় গেলে তাকে একটি ঘরে নিয়ে আটক করে বাহির থেকে দরজা বন্ধ দেয়।
সোহেল বলেন, আমাকে ঘরে ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ পর তারা একটি মেয়েকে রুমে নিয়ে আসে, এরপর তারা জোড় করে আমার শরীর থেকে সব কাপড় খুলে ফেলে, মেয়েটিও তার শরীর থেকে কাপড় খুলে ফেলে, দুইজনকে জোর করে খাটে শুইয়ে দিতে চাইলে আমি বাঁধা দিলে আমাকে ব্যাপক মারধর করে। এসময় মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে।
এরপর বলা হয়, ১০ লক্ষ টাকা আনতে, আমি এত টাকা কোথায় পাবো বললে তারা বলে ৫ লক্ষ টাকা দিতে। টাকা দিতে না পারলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তাছাড়া মেয়েটির সাথে আমি খারাপ কাজ করেছি এরকম শতাধিক ভুয়া স্বাক্ষী তাদের তৈরি আছে। পরে অনেক বাড়াবাড়ির পর তারা দুই লক্ষ টাকায় নামে।
আমার ব্যাবসায়ী পার্টনার শামিমকে কল দিয়ে দুই লক্ষ টাকা আনার কথা বললে শামিম বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিনকে জানায় ঘটনাটি। তিনি থানাকে অবহিত করলে এসআই জুলফিকার ফোঁস নিয়ে সাদা পোশাকে ঐ এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়।
সংঘবদ্ধ চক্রটি রাত ৯ টার দিকে ভাটিয়ারী এলাকায় মসজিদের পাশের একটি গলিতে টাকা নিয়ে আসতে বলে। এসময় পুলিশের কথামত শামিম একটা প্যাকেট নিয়ে গলির ভিতরে গেলে এক যুবক টাকা নিতে আসে। এর আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা পুলিশ তাকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিন।
এ ব্যাপারে সীতাকুন্ড মডেল থানার এসআই জুলফিকার হোসেন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ব্লাকমেইল কাজে জড়িত। একটি সফল অভিযানের মাধ্যমে ইকবাল নামের একজনকে আটক করা হয়। সে ভাটিয়ারী এলাকার ছবির আহমদের ছেলে। তার সাথে একটি বড় চক্র জড়িত।
অপহ্নত ব্যবসায়ী সোহেল রানা বি-বাড়িয়ার কসবা থানার শ্যামপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ আলমের পুত্র। সে বেশ কয়েক বছর ধরে মাদামবিবির হাট এলাকায় পুরানো জাহাজের স্ক্রাপের ব্যবসা করে আসছেন।
বিএম/কামরুল দুলু/রাজীব…
