অন্যায় করবেন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না : ভূমিমন্ত্রী

    ?

    বিএম ডেস্ক : অন্যায় করবেন না এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না। আপনাদের কর্মকাণ্ডের উপর আমার এবং সর্বোপরি সরকারের ভাবমূর্তি নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

    আজ (১ এপ্রিল) সোমবার রাজধানীর কাঁটাবনে অবস্থিত ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুই সপ্তাহের ‘৯ম বেসিক ভূমি ব্যবস্থাপনা কোর্সে’র প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি)/এসিল্যান্ডদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

    মতবিনিময় সভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি চাইব না এমন কোনো কিছু আপনারা করেন, যেন আমাদের অন্য কোনো চিন্তা করতে হয়। আপনাদের একটা জিনিষ মাথায় রাখতে হবে যে দুর্নামের মূল জায়গা কোথায়। হয়ত হতে পারে, আপনাদের অধিস্তনগণ আপনাদের ভুল পথে পরিচালিত করছে। সে ক্ষেত্রে আমি আপনাদের বলব নিজ নেতৃত্ব গুণাবলী দিয়ে নিজেদের কর্মস্থল ব্যবস্থাপনা করতে।’

    ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ এ দেশের মালিক। এজন্যই দেশের পূর্ণ নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। জনগণকেই যদি হয়রানি করা হয় তাহলে নামের কী আর সার্থকতা থাকল! আমি আশা করব আপনারা আপনাদের যে দায়িত্বে আছেন তা ভালোভাবে পালন করবেন। এর সাথে জন-দুর্ভোগ কমানোর জন্যে নিজ উদ্যোগেও কাজ করবেন। আপনারা নতুন নতুন চিন্তা করবেন কীভাবে সেবার মান বাড়ানো যায়। আমি আশা করব ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি আপনারা বাড়াবেন।’

    ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে লক্ষ্য একটাই, মানুষের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এজন্য সবার মাইন্ডসেট বদলাতে হবে। বাংলাদেশ পরিবর্তন হচ্ছে, আপনাদেরও পরিবর্তন হতে হবে। আপনারা নতুন প্রজন্মের চিন্তা চেতনার। সুতরাং নতুন প্রজন্মের চিন্তা করবেন। প্রয়োজনে সপ্তাহে কিংবা মাসে একদিন গণ-শুনানি করবেন। মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করবেন তাহলে কাজ করতে সুবিধা হবে। আমরা রূপকল্প-২০২১’ অর্জনের লক্ষ্য অর্জন করে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবার পথে। ভালোভাবে কাজ করতে পারলে ২০৪১ সালে ইনশাল্লাহ আমরা উন্নত এবং সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হব।’

    ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইলেজেশনের কাজ এগিয়ে চলছে। ভূমি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে ১০ই এপ্রিল সারা দেশে ভূমি সপ্তাহ এবং ভূমি উন্নয়ন কর মেলা পালন হবে।’

    তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের মধ্যে ভূমি বিষয়ে সচেতনতা যেন বৃদ্ধি পায় এজন্য এসিল্যান্ডদের ভালোভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন ভূমিমন্ত্রী।

    মন্ত্রীর বক্তব্য শেষে এসিল্যান্ডগণ ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. আব্দুল হাইয়ের ডাকে সমন্বিতভাবে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন জনসেবাই হবে তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

    উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ নবনিযুক্ত সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) এই প্রশিক্ষণ কোর্সে যোগদান করেন। ২ এপ্রিল তাদের প্রশিক্ষণ শেষ হবে।

    বিএম/রনী/রাজীব