‘আমি তো ভালা না,ভালা লইয়াই থাইকো’ গানটির গীতিকার টিটু পাগল

    বিনোদন ডেস্ক : বর্তমান সময়ের ব্যাপক আলোচিত গানগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে কামরুজ্জামান রাব্বির গাওয়া ‘অতীতের কথাগুলো পুরোনো স্মৃতিগুলো মনে মনে রাইখো; আমি তো ভালা না, ভালা লইয়াই থাইকো’ গানটি।

    ফোক ধাঁচের এই গানটি ইউটিউবে প্রায় এক কোটি বার দেখা হয়ে গেছে। ঈগল মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশিত গানটির গীতিকার আর সুরকার কে? -এই নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। কারণ, গানটির গীতিকার ও সুরকার হিসেবে দুজন দাবি করেছেন। অবশেষে এবার পাওয়া গেল আসল ব্যক্তির খোঁজ।

    মাহবুব শাহকে এতদিন এই গানটির স্রষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন অনেকেই। তাছাড়া কামরুজ্জামান রাব্বি নিজেও গানের শেষ দিকে গেয়েছেন, ‘মাহবুব ভেবে বলে মায়ের কোলই ভালা মায়ের কোল ছেড়ে দেখি সংসারেতে জ্বালা।’ অন্যদিকে গানটির গীতিকার ও সুরকার হিসেবে স্বীকৃতি চেয়ে কপিরাইট অফিসে আবেদন করেন টিটু পাগল। এরপর বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য তিনটি শুনানি হয়। বিচার বিশ্লেষণ শেষে কপিরাইট অফিস গানটির গীতিকার ও সুরকার হিসেবে টিটু পাগলকে সার্টিফিকেট প্রদান করেছে।

    কপিরাইট অফিসের ওই শুনানিগুলোতে ডাকা হয়েছিল বাদী টিটু পাগল ও বিবাদী মাহবুব শাহ, গানটির শিল্পী কামরুজ্জামান রাব্বি আর ঈগল মিউজের কর্ণধার কচি আহমেদকে। তবে মাহবুব শাহ একটি শুনানিতেও উপস্থিত হননি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের কপিরাইট অফিস থেকে টিটু পাগলের হাতে গানটির গীতিকার ও সুরকার হিসেবে স্বীকৃতির সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। দুই বছর পর জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই গানের স্রষ্টা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে ফেসবুক লাইভে এসে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন টিটু পাগল।

    তিনি জানান, বিক্রমপুরের চান মস্তানকে নিয়ে এই গানটি লেখা হয়েছিল। ২০১২ সালে তার মাজারে তিনি প্রথম গানটি গেয়েছেন। এরপর এক অনুষ্ঠানে টিটুর কণ্ঠে গানটি শুনে মাহবুব শাহর খুব পছন্দ হয়ে যায়। মাহবুব শাহ তাকে গানটি গাওয়ার জন্য শ্রীনগরে আমন্ত্রণ জানান। সেদিন একই মঞ্চে তারা দুজন মিলে গানটি গেয়েছেন। এরপর নাকি কিছু অংশ পরিবর্তন করে মাহবুব শাহ গানটি নিজের নামে চালিয়ে দেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন মাহবুব শাহ। শেষ পর্যন্ত কপিরাইট অফিসে আবেদন করে গানের স্বত্ত্ব পাকাপাকিভাবে ফিরে পান টিটু পাগল।

    বিএম/রনী/রাজীব