কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের দুই প্রবাসীর মৃত্যু : আহত ২

    চট্টগ্রাম মেইল : কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা দুই প্রবাসি। একই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে প্রবাসী (চট্টগ্রাম) র বাসিন্দা জমির উদ্দিন ও মিয়া।

    বুধবার স্থানীয় সময় সাড়ে ৩টা এবং বাংলাদেশী সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় কাতারের বিমান বন্দর সড়কে চট্টগ্রামে প্রবাসী বহনকারী প্রাইভেট কারকে আরবী প্রবাসীর একটি গাড়ি গতি হারিয়ে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    পরিবারকে সুখে শান্তিতে রাখতে নিরন্তন প্রচেষ্টায় প্রবাসে যারা পারি জমিয়েছে তাদের বাড়িতেই আজ শোকের মাতম। ভাগ্য তাদের সাথে বেঈমানি ও পরিহাস করায় প্রবাসীর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল।

    কাতারে বসবাসরত ইলিয়াস রেজা সোহেল নামে এক প্রবাসী জানিয়েছেন, গতকাল ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা চার প্রবাসী গাড়িতে করে বিমান বন্দর সড়কের স্থানীয় একটি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন।

    মাঝপথে মহাসড়কে একই দিক থেকে আরবী এক প্রবাসীর দ্রুতগতির গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে চট্টগ্রামের প্রবাসীদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে চট্টগ্রাম প্রবাসী বহনকারী গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

    ঘটনাস্থলেই নিহত হন চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার উত্তর সর্তা আমিন মুন্সী বাড়ির বাসিন্দা সিরাজ ও ফটিকছড়ি উপজেলার সাইফুর বাড়ির বাসিন্দা জাহেদ। একই ঘটনায় লস্কর উজিড় বাড়ির বাসিন্দা সৈয়দ হোসেন মিয়া ও দক্ষিণ ধর্মপুরের জমির উদ্দিনকে গুরুতর আহত হন।

    স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হামাদ হসপিটালে ভর্তি করে দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুরুতর আহত সৈয়দ হোসেন মিয়ার অবস্থা শঙ্কামুক্ত হলেও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে জমির উদ্দিন। তবে অপারেশন টেবিলে প্রায় ৬ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপারেশন সফল ভাবে শেষ হয়েছে বলে জানান। এ তথ্যটিও নিশ্চিত করেছেন কাতারে বসবাসরত নুরুল ইসলাম রিয়াদ।

    জানা যায়, বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য মাত্র ৭/৮ দিন আগে কাতারে পাড়ি দিয়েছিলেন রাউজান উপজেলার উত্তর সর্তা এলাকার আমিন মুন্সীর বাড়ির সিরাজ মিয়া।

    একই স্বপ্ন নিয়ে অল্প কিছুদিন আগেই কাতারে পারি জমিয়ে ছিলেন ফটিকছড়ির সাইফুর বাড়ির জাহেদ, রাউজানের লস্কর উজির বাড়ির সৈয়দ হোসেন মিয়া ও দক্ষিণ ধর্মপূরের জমির উদ্দীন। তাদের সকলেরই স্বপ্ন ছিল বিদেশের মাটিতে কষ্টার্জিত অর্থ উপার্জন করে দেশে ফিরে পরিবার ও এলাকাবাসীর সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।

    কিন্তু গতকাল একটি সড়ক দুর্ঘটনায় চিরতরে তাদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যায়। পরিবার পরিজনের সাথে শেষ দেখাটা না করেই চলে যান না ফেরার দেশে। অন্য দুজনও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

    কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশী দুতাবাস সূত্রে জানা গেছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সিরাজ ও জাহেদের লাশ ময়না তদন্ত শেষ করে দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

    বিএম/রাজীব সেন প্রিন্স…