‘হতাশাগ্রস্ত’ রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতে পারে স্বার্থান্বেষীরা: প্রধানমন্ত্রী

    রোহিঙ্গাদের

    বিএম ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা হতাশাগ্রস্ত, স্বার্থান্বেষী মহল তাদের খারাপ কাজে লাগাতে পারে এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রবিবার (৭ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বৈদেশিক ও কমনওয়েলথ অফিসের প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, যারা (বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক) এখানে এসেছে, তাদের মধ্যে তরুণরা হতাশ হচ্ছে। তাদের কাজ নেই, কর্ম নেই, দেশে ফিরতে পারবে কি না, তাদের ভবিষ্যত কি? এগুলো তাদের হতাশ করছে। এই হতাশাগ্রস্ত জনগণকে স্বার্থান্বেষী মহল খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারে।

    মিয়ানমারকে জোরালো চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারকে জোরালো চাপ দেয়া, যাতে মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়।

    রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের সমস্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। রোহিঙ্গারা স্থানীয় জনগণের চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গাদের কষ্টকর জীবনযাপন এবং তাদের কষ্ট লাঘবে সাময়িকভাবে ভাষাণচরে আবাসনের ব্যবস্থা করতে সরকারের কার্যাক্রমের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পুননির্বাচিত হওয়া এবং টানা তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান বৃটিশ মন্ত্রী। তিনি আওয়ামী লীগের বিজয়কে ‘বিগ ভিক্টরি’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

    এ সময় বাংলাদেশের বিপুল সম্ভবনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মার্ক ফিল্ড। পাশাপাশি দুদেশের সম্পর্কটা দ্রুত আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। চলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে মার্ক ফিল্ড বলেন, ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।

    বিএম/রনী/রাজীব